পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । ভক্তগণসঙ্গে সাধনপ্রসঙ্গে । ミoQ সপ্তম পরিচ্ছেদ । পূর্বকথা—শস্তৃমল্লিকের অনাসক্তি। মহাপুরুষের আশ্রয়। শ্রীরামকৃষ্ণ (মুখুয্যে প্রভৃতিকে) । কাপ্তেনের ঠিক সাধকের অবস্থা । “ঐশ্বৰ্য্য থাকলেই যে তাতে আসক্ত হতেই হবে, এমন কিছু নয় ৮ শস্তু (মল্লিক ) বলত, হৃদু, পোটল বেঁধে বসে আছি ! আমি বলতাম, কি অলক্ষণে কথা কও !— “তখন শম্ভূ বলে, ‘না,—বলে, এ সব ফেলে যেন তার কাছে যাই ।” “র্তার ভক্তের ভয় নাই । ভক্ত র্তার আত্মীয় । তিনি তাদের টেনে নেবেন । দুৰ্য্যোধনের গন্ধর্বের্বর কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন । বল্লেন, আত্মীয়দের ওরূপ অবস্থা হলে আমাদেরই কলঙ্ক ৷” [ ঠাকুরবাড়ীর ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণ মধ্যে ভক্তিদান । ] প্রায় নয়টা রাত্রি হইল । মুখুয্যে ভ্রাতৃদ্বয় কলিকাতা ফিরিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন । ঠাকুর একটু উঠিয়া ঘরে ও বারান্দায় পদচারণ। করিতে করিতে বিষ্ণুঘরে উচ্চসংকীৰ্ত্তন হইতেছে শুনিতে পাইলেন । তিনি জিজ্ঞাসা করতে একজন ভক্ত বলিলেন, তাহদের সঙ্গে লাটু ও হরিশ জুটিয়াছে । ঠাকুর বলিলেন,—ও তাই ! ঠাকুর বিষ্ণুঘরে আসিলেন । সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরাও আসিলেন। তিনি শ্ৰীশ্রীরাধাকান্তকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর দেখিলেন যে, ঠাকুরবাড়ীর ব্রাহ্মণের—যারা ভোগ রাধে, নৈবেদ্য করে দেয়, অতিথিদের পরিবেশন করে এবং পরিচারকেরা, অনেকে একত্র মিলিত হইয়া নামসংকীৰ্ত্তন করিতেছে। ঠাকুর একটু দাড়াইয়া তাহাদের উৎসাহ বৰ্দ্ধন করিলেন । উঠানের মধ্য দিয়া ফিরিয়া আসিবার সময় ভক্তদের বলিতেছেন— “দ্যাখো, এরা সব কেউ বেশ্যার বাড়ী যায়, কেউ বাসন মাজে । ঘরে আসিয়া ঠাকুর নিজ আসনে আবার বসিয়াছেন । যাহারী ংকীৰ্ত্তন করিতেছিলেন, তাহারা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।