পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ○8 ề statīņqs getTS I [1884, 5th October. শ্রীরামকৃষ্ণ । উলোর বামনদাসের সঙ্গে—বিশ্বাসদের বাড়ীতে— দেখা হলো । আমি বল্লাম, আমি তোমাকে দেখতে এসেছি । যখন চলে এলাম, শুনতে পেলাম, সে বলছে,—‘বাব, বাঘ যেমন মানুষকে ধরে, তেমনই ঈশ্বরী, একে ধরে রয়েছেন!' তখন সমর্থ বয়স,—খুব মোটা । সৰ্ব্বদাই ভাবে । আমি মেয়ে বড় ভয় করি। দেখি, যেন বাঘিনী খেতে আসছে । আর অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, ছিদ্র সব খুব বড় বড় দেখি ! সব রাক্ষসীর মত দেখি। “আগে ভারী ভয় ছিল। কারুকে কাছে আসতে দিতাম না । এখন তবু অনেক করে মনকৈ বুঝিয়ে, মা আনন্দময়ীর এক একটা রূপ বলে দেখি। “ভগবতীর অংশ। কিন্তু পুরুষের পক্ষে—সাধুর পক্ষে—ভক্তের পক্ষে—ত্যাজ্য । “হাজার ভক্ত হলেও মেয়েমানুষকে বেশী ক্ষণ কাছে বস্তে দিই না। একটু পরে হয় বলি, ঠাকুর দেখো গে যাও; তাতেও যদি না উঠে, তামাক খাবার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি । “দেখতে পাই, কারু কারু মেয়ে মানষের দিকে আদপে মন নাই। নিরঞ্জন বলে, “কই আমার মেয়ে মানুষের দিকে মন নাই ? [ হরিবাবু, নিরঞ্জন, পাড়ে খোট্টা, জয়নারা’ণ । ] “হরি ( উপেন ডাক্তারের ভাই ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, সে ও বলে, —‘না, মেয়ে মানুষের দিকে মন নাই ।” “যে মন ভগবানকে দিতে হবে, সেই মনের বার আন মেয়ে মানুষ নিয়ে ফেলে । তার পর তার ছেলে হলে প্রায় সব মনটাই খরচ হয়ে যায়। তা হলে ভগবানকে আর কি দেবে ? “আবার কারু কারু তাকে আগ লাতে আগ লাতেই প্রাণ বেরিয়ে যায় ! পাড়ে জমাদার খোট্ট বুড়ো—তার চৌদ্দ বছরের বেী ! বুড়োর সঙ্গে তার থাকতে হয় । গোল পাতার ঘর। গোল পাতা খুলে খুলে লোকে ছাখে । এখন মেয়েটা বেরিয়ে এসেছে ! “একজনের বেী—কোথায় রাখে এখন ঠিক পাচ্ছে না। বাড়ীতে বড় গোল হয়েছিল। মহা ভাবিত। সে কথা আর কাজ নাই ।