পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। সাধুদ্বয় সঙ্গে পরসহংস অবস্থা । ২৩৩ “যাদের দেহবুদ্ধি আছে, তাদের সোহহং এ ভাব ভাল না। সকলেই চুপ করিয়া আছেন । ঠাকুর আপন আপনি একটু একটু হাসিতেছেন। তমাতাল্লাম ! আপনার আনন্দে আনন্দিত । এক জন সাধু অপরকে ফিস্ ফিস্ করিয়া বলিতেছেন—“আরে, দেখে দেখো ! এস্কো পরমহংস অবস্থা বোলতা হ্যায়।’ শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারকে, তাহার দিকে তাকাইয়া ) । হাসি পাচ্ছে । ঠাকুর বালকের ন্যায় আপন আপনি ঈষৎ হাসিতেছেন। __ _ یمن== তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘কামিনী’। সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম । [ পূর্বকথা—শ্বশুরঘর যাবার সাধ । উলোর বামনদাসের সঙ্গে দেখা । ] সাধুরা দর্শন করিয়া চলিয়া গেলেন। ঠাকুর ও বাবুরাম, মাষ্টার, মুখুয্যেদের হরি প্রভৃতি ভক্তের ঘরে ও বারাণ্ডায় বেড়াইতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারকে ) । নবীন সেনের ওখানে তুমি গিছলে ? মাষ্টার । আজ্ঞা, গিছলাম । নীচে বসে সব গান শুনেছিলাম । শ্রীরামকৃষ্ণ । তা বেশ করেছে । তোমার ওরা গিছলো । কেশব সেন ওদের খুড়তাতে ভাই ? মাষ্টার। একটু তফাৎ আছে ! একজন ভক্তের শ্ৰীযুক্ত নবীন সেনের শ্বশুরবাড়ীর সম্পৰ্কীয় লোক। মণির সহিত বেড়াইতে বেড়াইতে ঠাকুর নিভৃতে কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । লোকে শ্বশুরবাড়ী যায় । এতো ভেবেছিলুম, বিয়ে করবো, শ্বশুরঘর যাবো –সাধ আহলাদ করবে ! কি হয়ে গেল ! মণি। আজ্ঞা, ছেলে যদি বাপকে ধরে, সে পড়তে পারে ; বাপ যে ছেলেকে ধরেছেন সে আর পড়ে না।”—এই কথা আপনি বলেন । আপনারও ঠিক সেই অবস্থা । মা আপনাকে ধরেছেন ।