পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। দ্বিজ, রাখাল, মহিমা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২৭৫ আট পিটে, এতেও হু দিয়ে যাচ্চেন’ । [ দ্বিজের পিতা ঈষৎ হাসিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । এখানে এলে, আপনি কি বস্তু, তা এরা জানতে পারবে। বাপ কত বড় বস্তু ! বাপ মাকে ফাকি দিন্ত্রে ক্ষো প্ৰস্ম করলে, তার ছাই হবে । [ পূর্বকথা—বৃন্দাবনে ত্রীরামকৃষ্ণের মার জন্য চিন্তা। ] “মানুষের অনেকগুলি ঋণ আছে । পিতৃ-প্রাণ, দেব-প্ৰাণ, কশি-কাণ। এ ছাড়া আবার মাতৃঋণ আছে । আবার পরিবাবের সম্বন্ধেও ঋণ আছে—প্রতিপালন করতে হবে । সতী হলে, মরবার পরও তার জন্য কিছু সংস্থান করে যেতে হয়। “আমি মার জন্য বৃন্দাবনে থাকতে পারলাম না। যাই মনে পড়ল —ম দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ীতে আছেন, অমনি আর বৃন্দাবনে মন টিকল না ! “আমি এদের বলি, সংসারও কর , আবার ভগবানেতেও মন রাখ । —সংসার ছড়িতে বলি না,–এও কর ও ও কর । পিতা । আমি বলি, পড়া শুনা ত চাই,—আপনার এখানে আসতে বারণ করি না । তবে ছেলেদের সঙ্গে ইয়ারকি দিয়ে সময় না কাটে । শ্রীরামকৃষ্ণ । এর ( দ্বিজের ) অবশ্ব সংস্কার ছিল । এ দুই ভায়ের হল’না কেন ? আর এরই বা হল কেন ? “জোর করে আপনি কি বারণ করতে পারবেন। যার যা (সংস্কার) আছে, তাই হবে । পিতা । হা তা বটে । ঠাকুর মেজেতে দ্বিজের পিতার কাছে আসিয়া মাদুরের উপর বসিয়াছেন । কথা কহিতে কহিতে এক এক বার তাহার গায়ে হাত দিতেছেন। সন্ধ্যা আগতপ্রায় । ঠাকুর মাষ্টার প্রভূতিকে বলিতেছেন, “এদের সব ঠাকুর দেখিয়ে আনো—আমি ভাল থাকলে সঙ্গে যেতাম” ৷ ছেলেদের সন্দেশ দিতে বলিলেন। দ্বিজের পিতাকে বলিলেন, “এর একটু খাবে, মিষ্টমুখ করতে হয় ।” দ্বিজর বাবা দেবালয় ও ঠাকুরদের দর্শন করিয়া বাগানে একটু