পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে। ৮জন্মাষ্টমী দিবসে ভক্তগণ সঙ্গে। ૨.૭૮ —ত বলে ও সব কথা বলায় অপরাধ হয়—ও কথা বলতে নাই। গিরীশ । বল, ভাল হয়ে যাবে। শ্রীরামকৃষ্ণ । আচ্ছ, যা হয়েছে তা যাবে। . গিরীশ নিজের ভাবে মাঝে মাঝে ঠাকুরকে সম্বোধন করিয়া । বলিতেছেন,—‘হঁ্যাগ, এবার রূপ নিয়ে আস নাই কেন গা ? কিয়ৎক্ষণ পরে আবার বলিতেছেন, —‘এবার বুঝি বাঙ্গল উদ্ধার ” কোন কোন ভক্ত ভাবিতেছেন, বাঙ্গল উদ্ধার, সমস্ত জগৎ উদ্ধার ! গিরীশ আবার বলিতেছেন, ‘ইনি এখানে রয়েছেন কেন, কেউ বুঝছো ? জীবের দুঃখে কাতর হয়ে এসেছেন ; তাদের উদ্ধার করবার জন্য !" গাড়োয়ান ডাকিতেছিল। গিরীশ গাত্রেথিান করিয়া তাহার কাছে যাইতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ মাষ্টারকে বলিতেছেন, ‘দ্যাখো, কোথায় যায়— মারবে না তো ?’ মাস্টারও সঙ্গে সঙ্গে গমন করিলেন । গিরাশ আবার ফিরিয়াছেন ও ঠাকুরকে স্তব করিতেছেন –‘ভগবন। পবিত্রতা আমায় দাও ! যাতে কখনও একটুও পাপ-চিন্তা না হয় ! শ্রীরামকৃষ্ণ | তুমি পবিত্র ত অাছে !—তে মাৱ ঘে বিশ্বাসন ভক্তি= ! তুমি ত আনন্দে আছ ? গিরীশ । আজ্ঞা না। মন খারাপ—অশান্তি –তাই খুব মদ খেলুম। কিয়ৎক্ষণ পরে গিরীশ আবার বলিতেছেন-–ভগবন আশ্চৰ্য্য হচ্ছি যে, পূৰ্ণব্ৰহ্ম ভগবানের সেবা করছি ! এমন কি তপস্যা করিছি যে, এই সেবার অধিকারী হয়েছি । ঠাকুর মধ্যাহ্নের সেবা করিলেন । অসুখ হওয়াতে অতি সামান্য একটু আহার করিলেন । ঠাকুরের সর্বদাই ভাবাবস্থা—জোর করিয়া শরীরের দিকে মন আনিতেছেন । কিন্তু শরীর রক্ষা করিতে বালকের ন্যায় অক্ষম । বালকের ন্যায় ভক্তদের বলিতেছেন,—‘এখন একটু খেলুম—একটু শোবো । তোমরা একটু বাহিরে গিয়ে বসে । ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিয়াছেন। ভক্তেরা আবার ঘরে বসিয়াছেন।