পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর - রাখাল, মাস্টার, প্রাণকৃষ্ণ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ৭ মনুমেণ্ট (monument) এর নীচে যতক্ষণ থাকা ততক্ষণ গাড়ী, ঘোড়া, সাহেব, মেম—এই সব দেখা যায়। উপরে উঠলে কেবল আকাশ, সমুদ্র, ধৃ ধূ কচ্ছে!—তখন বাড়ী, ঘোড়া, গাড়া, মানুষ এ সব আর ভাল লাগে না, এ সব পিপড়ের মত দেখায় ! “ব্রহ্মজ্ঞান হলে সংসারাসক্তি, কামিনীকাঞ্চনে উৎসাহ,—সব চলে যায়। সব শান্তি হয়ে যায়। কাঠ পোড়বার সময় অনেক পড় পড়, শব্দ আর আগুনের বাবা। সব শেষ হয়ে গেল ছাই পড়ল-তখন আর শব্দ থাকে না। আসক্তি গেলেই উৎসাহ যায়—— শেষে শান্তি । “ঈশ্বরের যত নিকট এগিয়ে যাবে ততই শান্তিঃ । শান্তিঃ শাস্তিঃ শান্তিঃ প্রশাস্তিঃ । গঙ্গার যত নিকট যাবে ততই শীতল বোধ হবে । স্নান করলে আরও শান্তি । “তবে জীব, জগৎ,—চতুৰ্বিবংশতি তত্ত্ব,-এ সব, তিনি আছেন বলে সব আছে। তাকে বাদ দিলে কিছুই থাকে না । ১ এর পিঠে অনেক শূন্য দিলে সংখ্যা বেড়ে যায়। ১কে পুছে ফেল্পে শূন্যের কোনও পদার্থ থাকে না ।” প্রাণকৃষ্ণকে কৃপা করিবার জন্য ঠাকুর কি এইবার নিজের অবস্থ৷ সম্বন্ধে ইঙ্গিত করিতেছেন ? ঠাকুর বলিতেছেন— [ ঠাকুরের অবস্থা–ব্রহ্মজ্ঞানের পর ভক্তির ‘আমি । ] “ব্রহ্মজ্ঞানের পর—সমাধির পর—কেহ কেহ নেমে এসে বিদ্যার ‘আমি ভক্তির ‘আমি লয়ে থাকে । বাজার চুকে গেলে কেউ কেউ আপনার খুসি বাজারে থাকে। যেমন নারদাদি । তার লোকশিক্ষার জন্য ‘ভক্তির আমি লয়ে থাকেন। শঙ্করাচাৰ্মা লোকশিক্ষার জন্য বিদ্যার “আমি” রেখেছিলেন । “একটুও আসক্তি থাকলে তাকে পাওয়া যায় না। সূতার ভিতর একটু অস্ িথাকলে সূচের ভিতর যাবে না।” “যিনি ঈশ্বর লাভ করেছেন, তাহার কাম ক্রোধাদি নামমাত্র। যেমন পোড়া দড়ি। দড়ির আকার। কিন্তু ফু দিলে উড়ে যায় !