পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ খ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ ( ১৮৮৪, ৩০শে জুন স্ত্রীরামকৃষ্ণ–ব্রহ্মজ্ঞানের পরও ঈশ্বর একটু আমি রেখে দেন। সেই “আমি”—‘ভক্তের আমি বিদ্যার আমি । তা হতে এ অনন্ত লীলা আস্বাদন হয়। মুসল সব ঘসে একটু তাতেই আবার উলুবনে পড়ে কুলনাশন—যদুবংশ ধ্বংস হলো। বিজ্ঞানী তাই এই ‘ভক্তের আমি বিদ্যার আমি রাখে–আস্বাদনের জন্য, লোক শিক্ষার জন্য। [*stal essalo-A new light on the Vedantal “ঋষির ভয়তরাসে । তাদের ভাব কি জান ? আমি যে সে ক’রে যাচ্ছি আবার কে আসে ? খাদি কাঠ আপনি যে সে ক'রে ভেসে যায়—কিন্তু তার উপর একটি পাখী বস্লে ডুবে যায়। নারদাদি বাহাদুর কাঠ, আপনিও ভেসে যায়, আবার অনেক জীব জন্তুকেও নিয়ে যেতে পারে। Steamboat ( কলের জাহাজ )—আপনিও পার হ’য়ে যায় এবং অপরকে পার ক’রে নিয়ে যায় । “নারদাদি আচাৰ্য্য বিজ্ঞানী,—অন্য ঋষিদের চেয়ে সাহসী । যেমন পাকা খেলোয়াড় ছকবাধা খেলা খেলতে পারে। কি চাও, ছয় না পাচ ? ফি বারেই ঠিক পড়ছে!—এমনি খেলোয়াড় —সে আবার মাঝে মাঝে গোপে তা দেয় । “শুধু জ্ঞানী যারা, তারা ভয়তরাসে। যেমন শতরঞ্জ খেলায় কাচা লোকেরা ভাবে, যে সে করে একবার ঘুটি উঠলে হয় বিজ্ঞানীর কিছুতেই ভয় নাই । সে সাকার নিরাকার সাক্ষাৎকার করেছে!—ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ করেছে - ঈশ্বরের আনন্দ সম্ভো করেছে ! “র্তাকে চিন্তা করে, অখণ্ডে মন লয় হ'লেও আনন্দ,–আবার ম লয় না হ’লেও লীলাতে মন রেখেও আনন্দ ।