পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে বিজয় গোস্বামী, মহিম, প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ১৪৫ ৷ ঠাকুর মণিকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “কি লিখছে ?” গানের কথা । শুনিয়া বলিলেন, “এ যে বড় গান ৷” রাত্রে ঠাকুর একটু-সুজির পায়স ও একখানি কি দুখানি লুচি খান । । ঠাকুর রামলালকে বলিতেছেন, “মুজি কি আছে ?” - গান এক লাইন ছ’ লাইন লিখিয়া মণি লেখা বন্ধ করিলেন । ঠাকুর মেজেতে আসনে বসিয়া সুজি খাইতেছেন । ঠাকুর আবার ছোট খাটটিতে বসিলেন । মাষ্টার খাটের পার্শ্বস্থিত । পাপোশের উপর বসিয়া ঠাকুরের সহিত কথা কহিতেছেন । ঠাকুর । নারায়ণের কথা বলিতে বলিতে ভাবযুক্ত হইতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ—আজ নারায়ণকে দেখলুম। মাষ্টার—আজ্ঞা হা, চোখ ভেজা । মুখ দেখে কান্না পেল। শ্রীরামকৃষ্ণ –ওকে দেখলে যেন বাৎসল্য হয় । এখানে আসে বোলে ওকে বাড়িতে মারে । ওর হয়ে বলে এমন কেউ নাই । ‘কুঞ্জ তোমায় কু বুঝায় । রাই পক্ষে বুঝায় এমন কেউ নাই।’ মাষ্টার ( সহাস্ত্যে )–হরিপদর বাড়িতে বই রেখে পলায়ন । শ্রীরামকৃষ্ণ—ওটা ভাল করে নাই । ঠাকুর চুপ করিয়াছেন । কিয়ৎক্ষণ পরে কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ, ওর খুব সত্তা । তা না হ’লে কীৰ্ত্তন শুনতে শুনতে আমায় টানে ! ঘরের ভিতর আমার আসতে হ'ল । কীৰ্ত্তন ফেলে আসা—এ কখনও হয় নাই। ঠাকুর চুপ করিলেন । কিয়ৎক্ষণ পরে আবার কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—ওকে ভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলুম। তা এক কথায় । বললে—আমি আনন্দে আছি । ( মাষ্টারের প্রতি ) তুমি ওকে কিছু কিনে মাঝে মাঝে খাইও—বাৎসল্যভাবে। ~ : ৩য়—১০

  • ,