পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় বস্থ-বলরাম মন্দিরে ২৪১ স্ত্রীরামকৃষ্ণ ভাবাবিষ্ট । উত্তরাস্ত হইয়া দেওয়ালে ঠেসান দিয়া a ঝুলাইয়া তাকিয়ার উপর বসিয়া আছেন। ভক্তের চতুর্দিকে উপবিষ্ট । ভাবাবিষ্ট হইয়া ঠাকুর মার সঙ্গে একাকী কথা কহিতেছেন । ঠাকুর বলিতেছেন—“এই বেল খেয়ে যাব। তুই এলি ? তুই কি গাটুরি বেঁধে বাসা পাকড়ে সব ঠিক করে এলি ?” & ঠাকুর কি বলিতেছেন, মা তুই কি এলি ? ঠাকুর আর মা কি । অভেদ ? o - ཅཱན་ཏི་བ... “এখন আমার কারুকে ভাল লাগছে না। “মা গান কেন শুনব ? ওতে ত মন খানিকটা বাইরে চলে যাবে !” ঠাকুর ক্রমে ক্রমে আরও বাহ জ্ঞান লাভ করিতেছেন । ভক্তদের দিকে তাকাইয়া বলিতেছেন, “আগে কই মাছ জীইয়ে রাখা দেখে আশ্চৰ্য্য হ’তুম, মনে কবুতুম এরা কি নিষ্ঠুর, এদের শেষকালে হত্যা করবে ! অবস্থা যখন বদলাতে লাগল তখন দেখি, যে শরীরগুলো খোল মাত্র । থাকলেও এসে যায় না, গেলেও এসে যায় না ।” ভবনাথ—তবে মানুষ হিংসা করা যায় !—মেরে ফেলা যায় ? শ্রীরামকৃষ্ণ – হা, এ অবস্থায় হতে পারে * । সে অবস্থা সকলের হয় না – ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা । 蛾 “তুই এক গাম নেমে এলে তবে ভক্তি, ভক্ত ভাল লাগে ! “ঈশ্বরেতে বিদ্যা অবিদ্যা দুই আছে । এই বিদ্যা মায়া ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়, অবিদ্যা মায়া ঈশ্বর থেকে মানুষকে তফাৎ ক’রে লয়ে যায় ! বিদ্যার খেলা—জ্ঞান, ভক্তি, দয়া, বৈরাগ্য । এই সব আশ্রয় করলে ঈশ্বরের কাছে পৌছান যায়। ন হন্ততে হন্তমানে শরীরে। [ গীতা—২২০ Sぷー>や