পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ-ড়িনি রিভুরূপে সৰ্ব্বভূতে আছেন। পিঁপড়েতে পৰ্য্যন্ত। কিন্তু শক্তি বিশেষ। তা না হ'লে একজন লোকে দশ জনকে হারিয়ে দেয়, আবার কেউ একজনের কাছ থেকে পালায় আর ত না হ’লে তোমাকেই বা সব - বেরিয়েছে ছুটাে । (হাস্য )। তোমার দয়া, তোমার বিষ্ঠা আছে— অন্তের চেয়ে, তাই তোমাকে লোকে মানে, দেখতে আসে। তুমি এ কথা মানে কি না ? : [ বিদ্যাসাগর মৃদু মৃদু হাসিতেছেন। or, . . . o " -- - w - [ শুধু পাণ্ডিত্য, পুথিগত বিদ্যা অসার-ভক্তিই সার] শ্রীরামকৃষ্ণ—শুধু পাণ্ডিত্যে কিছু নাই। তাকে পাবার উপায়, তাকে জানবার জন্তই বই পড়া। একটি সাধুর পুথিতে কি আছে, : একজন জিজ্ঞাসা করলে, সাধু খুলে দেখালে। পাতায় পাতায় 's রামঃ লেখা রয়েছে—আর কিছুই নাই ! “গীতার অর্থ কি ? দশবার বললে যা হয়। গীতা’ ‘গীতা’, দশবার বলতে গেলে, “ত্যাগী’ ত্যাগী হয়ে যায়। গীতায় এই শিক্ষা, —হে জীব, সব ত্যাগ করে ভগবানকে লাভ করবার চেষ্টা কর। সাধুই হোক, সংসারীই হোক, মন থেকে সব আসক্তি ত্যাগ করতে হয়। “চৈতন্যদেব যখন দক্ষিণে তীর্থ ভ্ৰমণ করছিলেন—দেখলেন একজন গীতা পড়ছে । আর একজন একটু দূরে বসে শুনছে, আর বঁদিছে— কেঁদে চোখ ভেসে যাচ্ছে । চৈতন্যদেব জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি এ সব বুঝতে পারছে ? সে বল্লে ঠাকুর ! শ্লোক এ সব কিছুই বুঝতে পারছি না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তবে কেন কাদছে ? ভক্তটি বল্লে, আমি দেখছি অৰ্জ্জুনের রথ, আর তার সামনে ঠাকুর আর অজুন কথা কচ্চেন। তাই দেখে আমি কাদৃছি।” - -