পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরামের বাটতে ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণ ৩৫১ ৷ গিয়েছিলেন। একজন ভগ্নী তাকে দেখে ভাবোল্লাসে পরিপূর্ণ হয়েছিলেন । যেমন গৌরের গানে আছে,— - 帖 “ডুবলো নয়ন ফিরে না এলো। গেীর রূপসাগরে সাতার ভুলে, তলিয়ে গেল আমার মন । “আর একটি বোন একলা খাবার দাবার উদ্যোগ করছিল। সে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যীশুর কাছে নালিশ করলে, ‘প্রভু, দেখুন দেখি—দিদির কি অন্যায়! উনি এখানে একলা চুপ ক'রে বসে আছেন, আর আমি । একলা এই সব উদ্যোগ করছি ? : “তখন যীশু বললেন, তোমার দিদিই ধন্ত, কেন না মানুষ জীবনের যা প্রয়োজন (অর্থাৎ ঈশ্বরকে ভালবাসা-প্রেম) তা ওঁর হয়েছে।” স্ত্রীরামকৃষ্ণ–আচ্ছা তোমার এ সব দেখে কি বোধ হয় । । মণি—আমার বোধ হয়, তিনজনেই এক বস্তু —যীশুখ্ৰীষ্ট, চৈতন্যদেব আর আপনি—একব্যক্তি ! স্ত্রীরামকৃষ্ণ-এক এক ! এক বই কি। তিনি (ঈশ্বর),—দেখ ছ না,−যেন এর উপর এমন ক’রে রয়েছে ! এই বলিয়া ঠাকুর নিজের শরীরের উপর অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন-- যেন বলছেন, ঈশ্বর তারই শরীর ধারণ করে অবতীর্ণ হয়েই রয়েছেন। মণি—সেদিন আপনি এই অবতীর্ণ হওয়ার ব্যাপারটি বেশ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ—কি বল দেখি । মণি–যেন দিগ দিগন্তব্যাপী মাঠ পড়ে রয়েছে ! ধুধু করছে । সম্মুখে পাচিল রয়েছে বলে আমি দেখতে পাচ্ছি না –সেই পাচিলের কেবল একটি গোল ফাক –সেই ফাক দিয়ে অনন্ত মাঠের খানিকট। দেখা যায় !