পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীপুর বাগানে সাঙ্গোঙ্গসঙ্গে স্ত্রীরামকৃষ্ণ ৩৭৩ ৷ মণি-আজ্ঞা না, এরা সব যাচ্চেন, এই সঙ্গেই যাই । মণি নূতন বাজারের জোড়াশাকোর চৌমাথায় একটি দোকান হইতে একটি সাদা পাথরবাটি কিনিলেন। বেল দ্বিপ্রহর হইয়াছে, এমন সময়ে কাশীপুরে ফিরিয়া আসিলেন ও ঠাকুরের কাছে আসিয়া প্রণাম - করিয়া বাটটি রাখিলেন। ঠাকুর সাদা বাটটি হাতে করিয়া দেখিতেছেন। ডাক্তার রাজেন্দ্র দত্ত, গীতাহস্তে শ্রীনাথ ডাক্তার, শ্রীযুক্ত রাখাল হালদার, আরও কয়েকজন আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ঘরে রাখাল, শশী, ছোট নরেন প্রভৃতি ভক্তের আছেন। ডাক্তারের ঠাকুরের পীড়া সম্বন্ধে সমস্ত সংবাদ লইলেন । শ্রীনাথ ডাক্তার ( বন্ধুদের প্রতি )—সকলেই প্রকৃতির অধীন। কৰ্ম্মফল কেউ এড়াতে পারে না ! প্রারব্ধ! so শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন,–র্তার নাম করলে, তাকে চিন্তা করলে, তার শরণাগত হ’লে— শ্ৰীনাথ—আজ্ঞে, প্রারব্ধ কোথা যাবে ?—পূৰ্ব্ব পূর্ব জন্মের কৰ্ম্ম । শ্রীরামকৃষ্ণ—খানিকটা কৰ্ম্মফল হয় । কিন্তু তার নামের গুণে অনেক কৰ্ম্মপাশ কেটে যায়। একজন পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মের দরুণ সাত জন্ম কাণ হ’ত ; কিন্তু সে গঙ্গাস্বান করলে। গঙ্গামানে মুক্তি হয় । সে ব্যক্তির চক্ষু যেমন কানা সেই রকমই রইলো, কিন্তু আর যে ছ'জন্ম সেটা হ’ল না। শ্রীনাথ—আজ্ঞে, শাস্ত্ৰে'ত আছে, কৰ্ম্মফল কারুরই এড়াবার জো নাই । [ শ্ৰীনাথ ডাক্তার তর্ক করিতে উদ্যত । শ্রীরামকৃষ্ণ (মণির প্রতি )—বল না, ঈশ্বরকোটির আর জীবকোটির অনেক তফাৎ। ঈশ্বরকোটির অপরাধ হয় না ; বল না। মণি চুপ করিয়া আছেন ; মণি রাখালকে বলিতেছেন, “তুমি বল ।”