পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা । @दूमादत्र मर्जत्र [ জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার—কুটীচক—তীর্থ কেন ] শ্রীরামকৃষ্ণ—জ্ঞানীরা নিরাকার চিন্তা করে। তারা অবতার মানে না। অজুর্ন শ্ৰীকৃষ্ণকে স্তব করছেন, তুমি পূর্ণ ব্রহ্ম ; কৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে বল্লেন, আমি পূর্ণ ব্ৰহ্ম কি না দেখবে এস। এই বলে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বল্লেন, তুমি কি দেখছ? অর্জুন বল্পে, আমি এক বৃহৎ গাছ দেখছি,—তাতে থোলো থোলো কালো জামের মত ফল ফলে রয়েছে । কৃষ্ণ বল্লেন, আরো কাছে এসে দেখ দেখি ও থোলো থোলো কালে ফল নয়,—থোলো থোলো কৃষ্ণ অসংখ্য ফলে রয়েছে—আমার মত। অর্থাৎ সেই পূর্ণ ব্রহ্মরূপ বৃক্ষ থেকে অসংখ্য অবতার হচ্ছে যাচ্ছে । “কবীর দাসের নিরাকারের উপর খুব ঝোঁক ছিল। কৃষ্ণের কথায় কবীর দাস বলত, ওঁকে কি ভজব –গোপীর হাততালি দিত আর উনি বানর নাচ নাচতেন ! ( সহাস্তে ) আমি সাকার বাদীর কাছে সাকার আবার নিরাকার বাদীর কাছে নিরাকার।” মণি ( সহাস্ত্যে )—যার কথা হচ্ছে তিনিও ( ঈশ্বর ) যেমন অনন্ত, আপনিও তেমনি অনন্ত —আপনার অন্ত পাওয়া যায় না। - - শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে )—তুমি বুঝে ফেলেই –কি জান—সব ধৰ্ম্ম একবার করে নিতে হয় –সব পথ দিয়ে চলে আসতে হয়। খেলার দুটা সব ঘর না পার হলে কি চিকে উঠে —ঘুট যখন চিকে উঠে কেউ তাকে ধরতে পারে না।