পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম খণ্ড ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্ববরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ সঙ্গে প্রথম পরিচ্ছেদ . পৰে কথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা, ১৮৫৮ [छढ़ कृशर्शकट्याब्र, ७*८फुनाब्र नाथढ़, इजथाब्रौ, बङौन्छ, छब्रभट्रथएटबा, ब्रनश्रभौ] আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মহানন্দে আছেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ীতে নরেন্দ্র আসিয়াছেন। আরও কয়েকটি অন্তরঙ্গ আছেন। নরেন্দ্র ঠাকুরবাড়ীতে আসিয়া সনান করিয়া প্রসাদ পাইয়াছেন । আজ আশিবন-শক্লো-চতুথী তিথি; ১৬ই অক্টোবর ১৮৮২, সোমবার। আগামী বহিস্পতিবার সপ্তমী তিথিতে শ্রীশ্রীদগোপজো। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে রাখাল, রামলাল ও হাজরা আছেন। নরেন্দ্রের সঙ্গে আর দল একটি ব্রহ্মজ্ঞানী ছোকরা আসিয়াছেন। আজ মাস্টারও আসয়াছেন । নরেন্দ্র ঠাকুরের কাছেই আহার করিলেন। আহারান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ঘরের মেজেতে বিছানা করিয়া দিতে বলিলেন, নরেন্দ্রাদি ভক্তেরা বিশেষতঃ নরেন্দ্র বিশ্রাম করিবেন। মাদরের উপর লেপ ও বালিশ পাতা হইয়াছে। ঠাকুরও বালকের ন্যায় নরেন্দ্রে কাছে বিছানায় বসিলেন। ভক্তদের সহিত, বিশেষতঃ নরেন্দ্রের সহিত, নরেন্দ্রের দিকে মুখ করিয়া হাসিমুখে মহা আনন্দে কথা কহিতেছেন। নিজের অবস্থা, নিজের চরিত্র, গলপচ্ছলে বলিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি)—আমার এই অবস্থার পর কেবল ঈশ্ববরের কথা শনবার জন্য ব্যাকুলতা হতো। কোথায় ভাগবত, কোথায় অধ্যাত্ম, কোথায় মহাভারত খুজে বেড়াতাম। এ‘ড়েদার কৃষ্ণকিশোরের কাছে অধ্যাত্ম শনতে যেতাম । “কৃষ্ণকিশোরের কি বিশ্বাস! বন্দোবনে গিছিল, সেখানে একদিন জলতৃষ্ণা পেয়েছিল। কুয়ার কাছে গিয়ে দেখে, একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে আমি নীচ জাতি, আপনি ব্রাহ্মণ ; কেমন করে আপনার জল তুলে দেব ? কৃষ্ণকিশোর বললে, “তুই বল শিব’। ‘শিব’ ‘শিব’ বললেই তুই শন্ধে হয়ে যাবি।’ সে ‘শিব’ ‘শিব’ বলে জল তুলে দিলে। অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে! কি বিশ্বাস! “এ ড়েদার ঘাটে একটি সাধন এসেছিল । আমরা একদিন দেখতে যাবো ভাবলাম। আমি কালীবাড়ীতে হলধারীকে বললাম কৃষ্ণকিশোর আর আমি