পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

र्माचरनथ्वब्र-अन्निद्रव्र-ऋबाँकधी-थ्रथम ८धद्वबाणधान कथा ○ “অনেকদিন পরে কাপ্তেনের সঙ্গে সৌরীন্দ্র ঠাকুরের বাড়ী গিছলাম। তাকে দেখে বললাম, তোমাকে রাজা টাজা বলতে পারব না, কেন না, সেটা মিথ্যা কথা হবে। আমার সঙ্গে খানিকটা কথা কইলে। তারপর দেখলাম সাহেব টাহেব আনাগোনা করতে লাগলো। রজোগণী লোক, নানা কাজ লয়ে আছে। যতীন্দ্রকে খবর পাঠান হ’ল। সে বলে পাঠালে আমার গলায় বেদনা হয়েছে।’ ■ “সেই উন্মাদ অবস্থায় আর একদিন বরানগরের ঘাটে দেখলাম জয় মাখয্যে, জপ করছে, কিন্তু অন্যমনস্ক! তখন কাছে গিয়ে দুই চাপর দিলাম! “একদিন রাসমণি ঠাকুরবাড়ীতে এসেছে। কালীঘরে এলো! পাজার সময় আসতো আর দই একটা গান গাইতে বলতো। গান গাচ্ছি, দেখি যে অন্যমনস্ক হয়ে ফল বাচ্ছে। আমনি দই চাপড়। তখন ব্যস্তসমস্ত হয়ে হাতজোড় করে রইলো। “হলধারীকে বললাম, দাদা এ কি স্বভাব হলো! কি উপায় করি, তখন মাকে ডাকতে ডাকতে ও স্বভাব গেলো। |মথরের সঙ্গে তাঁথা, ১৮৬৮—কাশীতে বিষয়কথা শ্রবণে ঠাকুরের রোদগ] “ঐ অবস্থায় ঈশ্বর কথা বই আর কিছ ভাল লাগে না। বিষয়ের কথা হচ্ছে শনলে বসে বসে কাঁদতাম। মধরবাব যখন সঙ্গে করে তাঁথোঁ লয়ে গেল, তখন কাশীতে রাজাবাবর বাড়ীতে কয়দিন আমরা ছিলাম। মথর বুবর সঙ্গে বৈঠকখানায় বসে আছি, রাজা বাবরাও বসে আছে। দেখি তারা বিষয়ের কথা কইছে। এত টাকা লোকসান হয়েছে এই সব কথা। আমি কাঁদতে লাগলাম, মা কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম, তীর্থ করতে এসেও সেই কামিনী-কাঞ্চনের কথা। কিন্তু সেখানে (দক্ষিণেশ্ববরে) তো বিষয়ের কথা শুনতে হয় নাই ।” ঠাকুর ভক্তদের, বিশেষতঃ নরেন্দ্রকে, একটা বিশ্রাম করিতে বলিলেন। নিজেও ছোট খাটটিতে একটা বিশ্রাম করিতে গেলেন।