পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वैौब्राञङ्कटरूङ्ग अथब ब्रटं-नटद्वन्छनित्र नाथना e ङौढ बब्राशा 을8( দ্য তিন জনের ফিরিয়া যাইবার বাড়ী ছিল না ; সুরেন্দ্র তাঁহাদের বলিলেন, ভাই তোমরা আর কোথা যাবে ; একটা বাসা করা যাক। তোমরাও থাকক্সে আর আমাদেরও জড়াবার একটা পথান চাই ; তা না হলে সংসারে এ রকম করে রাত দিন কেমন করে থাকবো। সেইখানে তোমরা গিয়ে থাক। আমি কাশীপুরের বাগানে ঠাকুরের সেবার জন্য যৎকিঞ্চিৎ দিতাম। এক্ষণে তাহাতে বাসা খরচা চলিবে। সরেন্দ্র প্রথম প্রথম দুই এক মাস টাকা ত্রিশ করিয়া দিতেন। ক্ৰমে যেমন মঠে অন্যান্য ভাইরা যোগ দিতে লাগিলেন, পঞ্চাশ ষাট করিয়া দিতে লাগিলেন। শেষে ১০০ টাকা পর্যন্ত দিতেন। বরাহনগরে যে বাড়ী লওয়া হইল, তাহার ভাড়া ও ট্যাক্স ১১ টাকা। পাঁচক ব্রাহ্মণের মাহিয়ানা ৬ টাকা, আর বাকী ডালভাতের খরচ। বড়ো গোপাল লাট ও তারকের যাইবার বাড়ী নাই। ছোট গোপাল প্রথমে কাশীপুরের বাগান হইতে ঠাকুরের গদি ও জিনিসপত্র লইয়া সেই বাসা বাড়ীতে গেলেন। সঙ্গে পাচক ব্রাহ্মণ শশী । রাত্রে শরৎ আসিয়া থাকিলেন। তারক বান্দাবনে গিয়াছিলেন ; কিছদিনের মধ্যে তিনিও আসিয়া জটিলেন। নরেন্দ্র, শরৎ, শশী, বাবরাম, নিরঞ্জন, কালী, এরা প্রথমে মাঝে মাঝে বাড়ী হইতে আসিতেন। রাখাল, লাট যোগীন ও কালী ঠিক ঐ সময় বন্দাবন গিয়াছিলেন। কালী একমাসের মধ্যে, রাখাল কয়েক মাস পরে, যোগীন এক বৎসর পরে ফিরিলেন। কিছুদিনের মধ্যে নরেন্দ্র, রাখাল, নিরঞ্জন, শরৎ শশী, বাবরাম, যোগীন, কালী, লাট, রহিয়া গেলেন আর বাড়ীতে ফিরিলেন না। ক্ৰমে প্রসন্ন ও সবোধ আসিয়া রহিলেন। গঙ্গাধর ও হরিও পরে আসিয়া জটিলেন।. ধন্য সমরেন্দ্র। এই প্রথম মঠ তোমারি হাতে গড়া! তোমার সাধু ইচ্ছায় এই আশ্রম হইল! তোমাকে যন্ত্রস্বরাপ করিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার মলে মন্ত্র কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ মতিমান করিলেন। কৌমার-বৈরাগ্যবান শ্রদ্ধাত্মা • নরেন্দ্রাদি ভক্তের দ্বারা আবার সনাতন হিন্দু ধমকে জীবের সম্মখে প্রকাশ । করিলেন। ভাই, তোমার ঋণ কে ভুলিবে ? মঠের ভাইরা মাতৃহীন বালকের ন্যায় থাকিতেন—তোমার অপেক্ষা করিতেন, তুমি কখন আসিবে। আজ বাড়ী ভাড়া দিতে সব টাকা গিয়াছে—আজ খাবার কিছু নাই—কখন তুমি আসিবে —আসিয়া ভাইদের খাবার বন্দোবসত করিয়া দিবে! তোমার আকৃত্রিম স্নেহ সমরণ করিলে কে না আশ্রবেরি বিসর্জন করিবে! ['নৱেম্মানির ঈশ্বর জন্য ব্যাকুলতা ও প্রয়ােপবেশন প্রসঙ্গ । কলিকাতার সেই নীচের ঘরে নরেন্দ্র মণির সহিত কথা কাঁহতেছেন। নরেন্দ্র এখন ভক্তদের নেতা। মঠের সকলের অন্তরে তাঁর বৈরাগ্য। ভগবান দশন জনা সকলে ছটফট করিতেছেন।