পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छछूथ* शब्रिटन्छ्न बगैंड*ञानटब्ञ e अधाभिर्भाङमहद्भ ভক্তেরা এই অবতার তত্ত্ব অবাক হইয়া শুনিতেছেন। কেহ কেহ ভাবিতেছেন, কি আশচয*! বেদোন্ত অখন্ড সচ্চিদানন্দ—যাহাকে বেদে বাক্য-মনের অতীত বলিয়াছে,—সেই পরিষে আমাদের সামনে চোদ্দ পোয়া মানুষ হইয়া আসেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ যেকালে বলিতেছেন, সেকালে অবশ্য হইবে। যদি তাঁহা না হইত, তাহা হইলে “রাম রাম” করিয়া এই মহাপর ষের কেন সমাধি হইবে ? নিশ্চয় ইনি হৃৎপমে রামরুপ দশন করিতেছিলেন। দেখিতে দেখিতে কোন্নগর হইতে ভক্তেরা খোল করতাল লইয়া সংকীত্তন করিতে করিতে বাগানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। মনোমোহন, নবাই ও অন্যান্য অনেকে নামসংকীৰ্ত্তন করিতে করিতে ঠাকুরের কাছে সেই উত্তর-পবে: বারান্দায় উপস্থিত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমোন্মত্ত হইয়া তাঁহাদের সহিত সংকীত্তন করিতেছেন। eلن নত্য করিতে করিতে মাঝে মাঝে সমাধি। তখন আবার সংকীৰ্ত্তনের মধ্যে চিত্রাপিতের ন্যায় দাঁড়াইয়া আছেন। সেই অবস্থায় ভক্তেরা তাঁহাকে পাপমালা দিয়া সাজাইলেন। বড় বড় গোড়েমালা। ভক্তেরা দেখিতেছেন, যেন শ্ৰীগৌরাঙ্গ সম্মখে দাঁড়াইয়া। গভীর ভাবসমাধিনিমগ্ন প্রভুর কখন অন্তদশা —তখন জড়বৎ চিত্রাপিতের ন্যায় বাহ্যশন্যে হইয়া পড়েন। কখন বা অধঃবাহ্যদশা—তখন প্রেমাবিল্ট হইয়া-নত্য করিতে থাকেন। আবার কখন বা শ্রীগৌরাঙ্গের ন্যায় বাহ্যদশা—। তখন ভক্তসঙ্গে সংকীত্তন করেন। ঠাকুর সমাধিস্থ, দাঁড়াইয়া। গলায় মালা। পাছে পড়িয়া যান ভাবিয়া একজন ভক্ত তাঁহাকে ধরিয়া আছেন; চতুদিকের ভক্তেরা দাঁড়াইয়া খোল করতালি লইয়া কীত্তন করিতেছেন। ঠাকুরের দটি স্থির । চন্দ্ৰবদন প্রেমানরঞ্জিত। ঠাকুর পশ্চিমাস্য। এই আনন্দ মতি ভক্তেরা অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখিতে লাগিলেন। সমাধি ভঙ্গ হইল। বেলা হইয়াছে। কিয়ৎক্ষণ পরে কীত্তনও থামিল। ভক্তেরা ঠাকুরকে আহার করাইবার জন্য ব্যস্ত হইলেন। ঠাকুর কিয়ৎকাল বিশ্রাম করিয়া, নববস্ত্র পীতাম্বর পরিধান করিয়া ছোট খাটটিতে বসিলেন। পীতাম্ববরধারী সেই আনন্দময় মহাপরেষের জ্যোতিময় ভক্তচিত্তবিনোদন, অপরপে রপ ভক্তেরা দশন করিতেছেন। সেই দেবদলভ, পবিত্র, মোহন মতি দশন করিয়া নয়নের তৃপ্তি হইল না। ইচ্ছা, আরও দেখি, আরও দেখি ; সেই রংপসাগরে মগন হই। ঠাকুর আহারে বসিলেন। ভক্তেরা আনন্দে প্রসাদ পাইলেন। 을 -