बष्ठे त्रद्भिट्टलझन ऊँाबूब्र वॆीब्राषङ्कङ्ग्, निउठात्रिश्च ७ ८बर्गभाङ्ग दैबन्नाभ! রাখালের বাপ বসিয়া আছেন। রাখাল আজকাল ঠাকুরের কাছে রহিয়াছেন। রাখালের মাতাঠাকুরাণী পরলোকপ্রাপিতর পর পিতা দ্বিতীয় সংসার করিয়াছেন। রাখাল এখানে আছেন, তাই পিতা মাঝে মাঝে আসেন। তিনি ওখানে থাকতে বিশেষ আপত্তি করেন না। ইনি সম্পন্ন ও বিষয়ী লোক, মামলা মোকদ্দমা সবাদা করিতে হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে অনেক উকিল, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ইত্যাদি আসেন। রাখালের পিতা তাঁহাদের সঙ্গে আলাপ করিতে মাঝে মাঝে আসেন। তাঁহাদের নিকট বিষয়কম সম্বন্ধে অনেক পরামশ পাইবেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মাঝে মাঝে রাখালের বাপকে দেখিতেছেন। ঠাকুরের ইচ্ছা--রাখাল তাঁর কাছে দক্ষিণেশ্বরে থাকিয়া যান। শ্রীরামকৃষ্ণ (রাখালের বাপ ও ভক্তদের প্রতি)—আহা, আজকাল রাখালের স্বভাবটি কেমন হয়েছে ! ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ–দেখতে পাবে, মাঝে মাঝে ঠোঁট নড়ছে! অন্তুরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা তাই ঠোঁট নড়ে। “এ সব ছোকরারা নিত্য সিদ্ধের থাক। ঈশ্ববরের জ্ঞান নিয়ে জন্মেছে। একটু বয়স হলেই বুঝতে পারে, সংসার গায়ে লাগলে আর রক্ষা নাই । বেদেতে হোমাপাখীর কথা আছে, সে পাখী আকাশেই থাকে, মাটির উপর কখন আসে না। আকাশেই ডিম পাড়ে। ডিম পড়তে থাকে, কুন্তু এত উচুতে পাখী থাকে যে, পড়তে পড়তে ডিম ফটে যায়। তখন পাখীর ছানা বেরিয়ে পড়ে, সেও পড়তে থাকে। কিন্তু তখনও এত উচু যে পড়তে পড়তে ওর পাখা উঠে ও চোখ ফোটে। তখন সে দেখতে পায় যে আমি মাটির উপর পড়ে যাব! মাটিতে পড়লেই মৃত্যু! মাটি দেখাও যা, অমনি মার দিকে চোঁচা দৌড়। একবারে উড়তে আরম্ভ করে দিল। যাতে মার কাছে পৌছতে পারে। এক লক্ষ্য মার কাছে যাওয়া । “এ সব ছোকরারা ঠিক সেই রকম। ছেলেবেলাই সংসার দেখে ভয় । এক চিন্তা কিসে মার কাছে যাব, কিসে ঈশ্ববরলাভ হয়। “যদি বল, বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, তবে এমন ভক্তি —এমন জ্ঞান হয় কেমন করে ? তার মানে আছে। বিষ্ঠাকুড়ে যদি ছোলা পড়ে, তা হলে তাতে ছোলা গাছই হয়। সে ছোলাতে কত ভাল কাজ হয়। বিষ্ঠাকুড়ে পড়েছে, বলে কি অন্য গাছ হবে ? “আহা, রাখালের স্বভাব আজকাল কেমন হয়েছে। তা হবে নাই বা কেন ? ওল যদি ভাল হয়, তার মাখীটিও ভাল হয়। (সকলের হাস্য) যেমন বাপ, তার তেমনি ছেলে!”
