পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निबज्रौम्न अब्रिट्झन ভক্তসঙ্গে কীত্তনানন্দে—সমাধিমন্দিরে এইবার সঙ্কীত্তন আরম্ভ হইবে। খোল বাজিতেছে। গোঠ খোল বাজাইতেছে। এখনও গান আরম্ভ হয় নাই। খোলের মধরে বাজনা, গৌরাঙ্গমণ্ডল ও তাঁহাদের নামসংকীৰ্ত্তন কথা উদ্দীপন করে। ঠাকুর ভাবে মগন হইতেছেন। মাঝে মাঝে খলির দিকে দটি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, “আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্চে।” গায়কেরা জিজ্ঞাসা কল্লেন, কিরাপ, পদ গাহিবেন ? ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বিনীতভাবে বললেন “একটা গৌরাঙ্গের কথা গাও।” কীত্তন আরম্ভ হইল। প্রথমে গৌরচলিদুকা। তৎপরে অন্য গীত— লাখবাণ কাঞ্চন জিনি। রসে ঢর ঢর গোরা ম:জাঙ নিছনি। কি কাজ শরদ কোটি শশী । জগৎ করিলে আলো গোরা মুখের হাসি৷ কীত্তনে গৌরাঙ্গের রূপবর্ণনা হইতেছে। কৌত্তনিয়া আখর দিতেছে। (সখি! দেখিলাম পণশশী ।) (হ্রাস নাই মগাঙ্ক নাই) (হৃদয় আলো করে।) কৗত্তনিয়া আবার বলছে—কোটি শশীর অমতে মুখ মাজা। এই কথা শুনিতে শুনিতে ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন। গান চলিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি ভঙ্গ হইল। তিনি ভাবে বিভোর হইয়া 'হঠাৎ দন্ডায়মান হইলেন ও প্রেমোন্মত্ত গোপিকার ন্যায় শ্রীকৃষ্ণের রাপের বর্ণনা করিতে করিতে কীত্তনিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আখর দিতেছেন,— (সখি! রাপের দোষ, না মনের দোষ ?) (আন হেরিতে শ্যামময় হেরি ত্রিভুবন!) ঠাকুর নত্য করিতে করিতে আখর দিতেছেন। ভক্তেরা অবাক হইয়৷ দেখিতেছেন। কীত্তনিয়া আবার বলছেন। গোপীকার উক্তি,—বাঁশী বাজিস না! তোর কি নিদ্রা নাই কো ? আখর দিয়া বলছেন— (আর নিদ্রা হলেই বা কেমন করে!) (শয্যা তো কর পল্লব!) (আহার তো শ্ৰীমখের অমত ) (তাতে অঙ্গুলির সেবা!) ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আসন পনবার গ্রহণ করিয়াছেন। কীৰ্ত্তন চলিতে লাগিল। শ্ৰীমতী বলছেন–চক্ষ গেল, শ্রবণ গেল, ঘ্ৰাণ গেল, ইন্দ্রিয় সকলে চলে গেল,—(আমি একেলা কেন বা র’লাম গো ।)