পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(; O āटौब्राह्नकृककथाबुङ–२ब्र छाण f s४४७• 8ठा छैन Q লজা করে না। আন্দির সঙ্গে—বাবরে মেয়েকে জামাই-এর কাছে শ্লোয়াতে যেতুম। . “এখনও একটা তাতেই উদ্দীপন হয়ে যায়। রাখাল জপ কত্তে কত্তে’ বিড় বিড় করতো। আমি দেখে স্থির থাকতে পারতুম না। একেবারে ঈশ্বরের উদ্দীপন হয়ে বিহবল হয়ে যেতুম।” ঠাকুর প্রকৃতিভাবের কথা আরও বলিতে লাগিলেন। আর বললেন, “আমি একজন কৗত্তনিয়াকে মেয়ে কীৰ্ত্তনীর ঢঙ সব দেখিয়েছিলাম। সে বললে আপনার এ সব ঠিক ঠিক। আপনি এ সব জানলেন কেমন করে।’ এই বলিয়া ঠাকুর ভক্তদের মেয়ে কীত্তনীয়ার ঢঙ দেখাইতেছেন। কেহই হাস্য সংবরণ করিতে পারিলেন না। তৃতীয় পরিচ্ছেদ মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে—ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিম্বর আহারের পর ঠাকুর একটা বিশ্রাম করিতেছেন। . গাঢ় নিদ্রা নয়, তন্দ্রার ন্যায়। শ্ৰীযন্ত মণিলাল মল্লিক (পরাতন ব্রহ্মজ্ঞানী) আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তখনও শইয়া আছেন। মণিলাল এক একটি কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের অন্ধনিদ্রা অন্ধজাগরণ অবস্থা। এক একবার উত্তর দিতেছেন। ●,町 মণিলাল—শিবনাথ নিত্যগোপালকে সংখ্যাতি করেন। বলেন বেশ অবসথা। ঠাকুর তখনও শইয়া—চক্ষে যেন নিদ্রা আছে। জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাজরাকে ওরা কি বলে ?” ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন। মণিলালকে ভবনাথের ভক্তির কথা বলিতেছেন। § g শ্রীরামকৃষ্ণ—আহা, তার কি ভাব ! গান না কত্তে কত্তে চক্ষে জল আসে। হরিশকে দেখে একেবারে ভাব। বলে, এরা বেশ আছে। হরিশ বাড়ী ছেড়ে এখানে মাঝে মাঝে থাকে কি না। মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “আচ্ছা ভক্তির কারণ কি ? ভবনাথ এ সব ছেকরার কোন উদ্দীপন হয়?” মাস্টার চুপ করিয়া আছেন। . শ্রীরামকৃষ্ণ—কি জান ? মানুষ সব দেখতে এক রকম, কিন্তু কারর ভিতর ক্ষীরের পোর! যেমন পলির ভিতর কলাইয়ের ডালের পোরও থাকতে পারে, ক্ষীরের পোরও থাকতে পারে, কিন্তু দেখতে এক রকম। ঈশ্বর জানবার ইচ্ছা, তাঁর উপর প্রেমভক্তি, এরই নাম ক্ষীরের পোর।