পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sty শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণকথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৩, ২৩শে সেপ্টেম্বর বাড়ীতে যাবে। সে কুটুম্ব আবার সেই তত্ত্ব তাদের কুটুম্ব বাড়ীতে পাঠাবে। কাজে কাজেই একটা ইলিশমাছ ১৫২০ ঘর ঘুরতে থাকে। মেয়েরা সব কাজ করে, তবে রান্নাটী উড়ে বামুনে রাধে, কারু বাড়ী ১ঘণ্টা, কারু বাড়ী ২ঘণ্টা, এই রকম। একটি উড়ে বামুন কখনও কখনও ৪৫ জায়গায় রাধে । ত্রীরামকৃষ্ণ হাসিতেছেন, নিজে কোন মত প্রকাশ করিতেছেন न] । [ ঠাকুর সমাধিস্থ–র্তাহার জগন্মাতার সহিত কথা ] সন্ধ্যা হইল। উঠানে উত্তর-পশ্চিম কোণে শ্রীরামকৃষ্ণ দণ্ডায়মান সমাধিস্থ । অনেকক্ষণ পরে বাহ্যজগতে মন আসিল । ঠাকুরের কি আশ্চৰ্য্য অবস্থা ! আজকাল প্রায়ই সমাধিস্থ। সামান্ত উদ্দীপনে বাহশূন্ত হন । ভক্তেরা যখন আসেন, তখন একটু কথাবাৰ্ত্ত কন ; নচেৎ সৰ্ব্বদাই অস্তমুর্থ। পূজাজপাদি কৰ্ম্ম আর করিতে পারেন না । [ ত্রীরামকৃষ্ণের কৰ্ম্মত্যাগ অবস্থা ] সমাধি ভঙ্গের পর দাড়াইয়া দাড়াইয়াই জগন্মাতার সহিত কথা কহিতেছেন। বলিতেছেন, ‘মা, পূজা গেল, জপ গেল ক্ষ, দেখে মা, যেন জড় কোরো না ! সেব্য সেবকভাবে রেখো। মা ! যেন কথা কইতে পারি, যেন তোমার নাম করতে পারি, আর তোমার নামগুণ কীৰ্ত্তন করবো, গান করবো মা ! আর শরীরে একটু বল দাও মা, যেন আপনি একটু চলতে পারি ; যেখানে তোমার কথা হচ্ছে, যেখানে তোমার ভক্তরা আছে, সেই সব জায়গায় যেতে পারি ? গ্রীরামকৃষ্ণ আজ সকালে কালীঘরে গিয়া জগন্মাতার শ্ৰীপাদপদ্মে পুষ্পাঞ্জলি দিয়াছেন। তিনি আবার জগন্মাতার সঙ্গে কথা কহিতেছেন। ঐরামকৃষ্ণ বলিতেছেন, মা আজ সকালে তোমার চরণে দুটো ফুল দিলাম ;

  • যন্তু আত্মীরতিরেব স্থাৎ•••অস্ত কাৰ্য্যং ন বিদ্যতে—গীত, ৩১৭