পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ খণ্ড গ্ৰথম পরিচ্ছেদ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে গ্রীরামকৃষ্ণ সৰ্ব্বদাই সমাধিস্থ ; কেবল রাখালাদি ভক্তদের শিক্ষার জন্ত র্তাহীদের লইয়া ব্যস্ত—কিসে চৈতন্ত হয়। তাহার ঘরের পশ্চিমের বারাণ্ডায় সকাল বেল! বসিয়া আছেন। আজ ৪ঠা পৌষ মঙ্গলবার, অগ্রহায়ণ চতুর্থী, ১৮ই ডিসেম্বর ১৮৮৩ খৃঃ অঃ। ৮দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভক্তি ও বৈরাগ্যের কথায় তিনি তাছার প্রশংসা করিতেছেন। রাখালাদি ছোকরা ভক্তদের দেখিয়া বলিতেছেন, তিনি ভাল লোক ; কিন্তু যারা সংসারে না চুকিয় ছেলেবেলা থেকে শুকদেবাদির মত অহৰ্নিশি ঈশ্বরের চিস্ত করে, কৌমার বৈরাগ্যবান, তারা ধন্ত !

  • সংসারী লোকদের একটা না একটা কামনা বাসনা থাকে। এদিকে ভক্তিও বেশ দেখা যায়। সেজবাবু কি একটা মোকদ্দমায় পড়েছিল—ম কালীর কাছে, আমায় বলছে, বাবা অর্থটি মাকে দাও তো—আমি উদার মনে দিলাম। কিন্তু কেমন বিশ্বাস যে আমি দিলেই হবে ।”
  • রতির মার এদিকে কত ভক্তি ! প্রায় এসে ক’ত সেবা। রতির মা বৈষ্ণবী। কিছুদিন পরে যেই দেখলে আমি মা কালীর প্রসাদ খাই—অমনি আর এলো না ! এক ঘেয়ে ! লোককে দেখলে প্রেথম প্রথম চেনা যায় না।”

স্ত্রীরামকৃষ্ণ ঘরের ভিতর পূর্বদিকের দরজার নিকট বসিয়া আছেন। শীতকাল, গায়ে Moleskin-এর র্যাপার। হঠাৎ সূৰ্য্যদর্শন ও সমাধিস্থ। নিমেষ শুষ্ঠ ! বাহশূন্ত ! এই কি গায়ত্রী মন্ত্রের সার্থকতা—“তৎসবিভুবরেণ্যং ভর্গোদেবস্ত ধীমহি । অনেকক্ষণ পরে সমাধি ভঙ্গ হইল। রাখাল, হাজরা, মাষ্টার প্রভৃতি বসিয়া আছেন।