পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नििष्ोश ?बिाङ्ग् মণিলাল মল্লিক পুরাতন ব্ৰহ্মজ্ঞানী। ভবনাথ, রাখাল, মাষ্ঠীর মাঝে মাঝে ব্রাহ্মসমাজে যাইতেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ওঁকারের ব্যাখ্যা ও ঠিক ব্ৰহ্মজ্ঞান, ব্ৰহ্মদর্শনের পর অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন । 蠟 [ অনাহত ধ্বনি ও পরমপদ ] শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি )—শব্দ ব্রহ্ম, ঋষি মুনির ওই শব্দ লাভের জন্ত তপস্তা করতেন। সিদ্ধ হ’লে শুনতে পায়, নাভি থেকে ঐ শব্দ আপনি উঠছে—অনাহত শবদ । “একমতে, শুধু শব্দ শুনলে কি হবে ? দূর থেকে শব্দ কল্লোল শোনা যায়। সেই শব্দ কল্লোল ধ’রে গেলে সমুদ্রে পৌছান যায়। যে কালে কল্লোল আছে সে কালে সমুদ্রও আছে। অনাহত ধ্বনি ধ’রে ধ’রে গেলে তার প্রতিপাদ্য ব্ৰহ্ম তার কাছে পৌছান যায়। তাকেই পরম পদ * বলেছে। “আমি” থাকতে ওরূপ দৰ্শন হয় না। যেখানে ‘আমিও নাই ‘তুমিও নাই ; একও, নাই অনেকও নাই ; সেইখানেই এই দর্শন।” [ জীবাত্মার ও পরমাত্মার যোগ সমাধি ] “মনে কর সূৰ্য্য আর দশটা জলপূর্ণ ঘট রয়েছে, প্রত্যেক ঘটে স্বর্ঘ্যের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে ! প্রথমে দেখা যাচ্ছে একটি স্বৰ্য্য ও দশটা প্রতিবিম্ব সূৰ্য্য। যদি ৯টা ঘট ভেঙ্গে দেওয়া যায়, তাহলে বাকী থাকে একটি স্বৰ্য্য ও একটি প্রতিবিম্ব স্বৰ্য্য। এক একটি ঘট যেন এক একটি জীব। প্রতিবিম্ব সূৰ্য্য ধরে ধরে সত্য সুৰ্য্যের কাছে যাওয়া যায়। জীবাত্মা থেকে পরমাত্মায় পৌছান যায়। জীব ( জীবাত্মা ) যদি সাধন ভজন করে তাহলে পরমাত্মা দর্শন করতে পারে। শেষের ঘটট ভেঙ্গে দিলে কি আছে মুখে বলা যায় না।” “জীব প্রথমে অজ্ঞান হ’য়ে থাকে। ঈশ্বর বোধ নাই নানা জিনিষ বোধ —অনেক জিনিষ বোধ । যখন জ্ঞান হয় তখন তার বোধ হয় যে ঈশ্বর

  • “যত্র নাদো বিলীয়তে।" "তদ্বিঞ্চো; পরমং পদং সদা পশুস্তি সুরয়ঃ ।”