পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিমুলিয়া ব্রাহ্মসমাজের মহোৎসবে ত্রীরামকৃষ্ণ २by१ ত্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে )—তা সংসারে হবে না কেন ? তবে কি জান, মন নিজের কাছে নাই। নিজের কাছে মন থাকলে তবে ত ভগবানকে দেবে। মন বন্ধক দিয়েছে ; কামিনী কাঞ্চনে বন্ধক। তাই সৰ্ব্বদা সাধু সঙ্গ দরকার। “মন নিজের কাছে এলে তবে সাধন ভজন হবে। সৰ্ব্বদাই গুরুর সঙ্গ, গুরুর সেবা, সাধুসঙ্গ প্রয়োজন। হয় নির্জনে রাতদিন তার চিস্তা, নয় সাধুসঙ্গ। মন একলা থাকলেই ক্রমে শুষ্ক হয়ে যায়।” “এক ভাড় জল যদি আলাদা রেখে দওে, ক্রমে শুকিয়ে যাবে । কিন্তু গঙ্গাজলের ভিতর যদি ঐ ভাড় ডুবিয়ে রাখে, তাহলে শুকুবে না ।” “কামারশালার লোহা আগুনে বেশ লাল হয়ে গেল । আবার আলাদা করে রাখো, যেমন কালো লোহা, তেমনি কালো। তাই লোহাকে মধ্যে মধ্যে হাপরে দিতে হয়।” “আমি কৰ্ত্তা, আমি করছি, তবে সংসার চলছে, আমার গৃহ পরিজন—এ সকল অজ্ঞান ! আমি তার দাস, তার ভক্ত, তার সস্তান—এ খুব ভাল।” “একেবারে আমি যায় না। এই বিচার করে উড়িয়ে দিচ্ছ, আবার কাটা ছাগল যেমন একটু ত্যা ভ্যা করে হাত পা নাড়ে, সেই রকম কোথা থেকে আমি এসে পড়ে ।” “র্তাকে দর্শন করবার পর, তিনি যে আমি রেখে দেন, তাকে বলে পাকা আমি। যেমন, তরবার পরশমণি ছুয়েছে, সোণা হয়ে গিয়েছে তার দ্বারা আর হিংসার কাজ হয় না । ঐরামকৃষ্ণ ঠাকুরদালানের উপরে বসিয়া এই সকল কথা কহিতেছেন। কেশব প্রভৃতি ভক্তগণ নিস্তব্ধ হইয়া শুনিতেছেন। রাত ৮টা হইয়াছে। তিনবার ঘণ্টা ( warning bell) বাজিল, যাহাতে উপাসনা আরম্ভ হয়। ত্রীরামকৃষ্ণ ( কেশব প্রভৃতির প্রতি )—এ কি ! তোমাদের উপাসনা হচ্ছে না । কেশব—আর উপাসনা কি হবে ? এই তো সব হচ্ছে। ঐরামকৃষ্ণ-নাগে, যেমন পদ্ধতি সেই রকম হক। কেশব—কেন এই তো বেশ হচ্ছে।