পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মণি মল্লিকের ব্রহ্মোৎসবে ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ &ፃ নামগুণকীৰ্ত্তন সর্বদা করতে করতে ভক্তি লাভ হয়। আহা ! শিবনাথের কি ভক্তি ! যেন রসে ফেলা ছানাবড়া । “এ রকম মনে করা ভাল নয় যে আমার ধৰ্ম্মই ঠিক ; আর অন্ত সকলের ধৰ্ম্ম ভুল। সব পথ দিয়েই তাকে পাওয়া যায়। আস্তরিক ব্যাকুলত৷ থাকলেই হলো। অনন্ত পথ –অনস্ত মত। “দেখ ! ঈশ্বরকে দেখা যায়। ‘অবাত্মনসোগোচর’ বেদে বলেছে ; এর মানে বিষয়াসক্ত মনের অগোচর। বৈষ্ণবচরণ ব’লত, তিনি শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধির গোচর * । তাই সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন। তবে চিত্তশুদ্ধি হয়। তখন তার দর্শন হয়। ঘোলা জলে নিৰ্ম্মলি ফেলে পরিষ্কার হয়। তখন মুখ দেখা যায়। ময়লা আশিতেও মুখ দেখা যায় না।” চিত্তশুদ্ধির পর ভক্তিলাভ করলে, তবে তার কৃপায় তাকে দর্শন হয় । দর্শনের পর আদেশ পেলে তবে লোকশিক্ষা দেওয়া যায়। আগে থাকতে লেকৃচার দেওয়া ভাল নয়। একটা গান আছে— ভাবছো কি মন একলা বসে, অনুরাগ বিনে কি চাদ গৈাঁর আসে। আজন্মট বীট দিলি না, ( মন্দিরে ) চামচিকা এগারজনা তারা দিব। নিশি করলে থানা, মন্দিরে তোর মাধব নাই রে— (পোদে ) তুই শাক ফুকে গোল করলি শেষে । “হৃদয়-মন্দির আগে পরিষ্কার করতে হয় ; ঠাকুর প্রতিমা আনতে হয়, পূজার আয়োজন করতে হয়। কোন আয়োজন নাই, ভে ভে করে শাক বাজান, তাতে কি হবে ?” মন এব মনুষ্যাণাং কারণং বন্ধমোক্ষয়েtঃ । বন্ধায় বিষয়াসঙ্গি মোক্ষে দিবিষয়ম্ স্মৃতম্। -মৈত্রায়ণী উপনিষৎ