পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে । মণিমল্লিক, গোবিন্দ প্রভৃতি সঙ্গে । పెJ শুকদেব ভাগবত কথা বলতে আদেশ পেয়েছিলেন। যদি ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার ক’রে কেউ আদেশ পায়, সে যদি প্রচার করে, লোক শিক্ষা দেয়, তা হ’লে দোষ নাই। তার "ামি ‘কাচ আমি নয়.পাক আমি । । শ্রীরামকৃষ্ণ । কেশবকে ক’লেছিলাম ‘কাচ আমি ত্যাগ কর। দাস আমি ভিক্তের আমি এতে কোন দোষ নাই। । “আর, তুমি দল দল ক’রছ । তোমার দল থেকে লোক ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে কেশব ব’ল্লে, মহাশয় তিন বৎসর এ দলে থেকে আবার ও দলে গেল যাবার সময় আবার অামায় গালাগালি দিয়ে গেল । আমি বল্লাম, তুমি লক্ষণ দেখ না কেন, যাকে তাকে চেলা করলে কি হয়! “ਬੇ কেশবকে বলেছিলাম, তুমি আন্তাশক্তিকে মানে। ব্ৰহ্ম_আর শক্তি অভেদ–যিনিই ব্রহ্ম তিনিই শক্তি। যতক্ষণ দেহবুদ্ধি ততক্ষণ দুটাে বলে বোধ হয়। ব’লতে গেলেই দুটাে। কেশব কালী (শক্তি ) মেনেছিল। “এক দিন কেশব শিষ্যদের সঙ্গে এখানে এসেছিল। আমি ব’ল্লাম: তোমার লেকচার শুনবো। চাদনীতে বসে লেক্চার দিলে। তার পর ঘাটে । এসে বসে অনেক কথাবাৰ্ত্ত হ’ল । আমি বল্লাম, যিনিই ভগবান তিনিই একরূপে ভক্ত। তিনিই একরূপে ভাগবত । তোমরা বল ভাপলতভক্ত-ভগবান কেশব বল্লে, আর শিষ্যরাও সব এক সঙ্গে ব’ল্লে, . ভাগবত-ভক্ত-ভগবান । যখন বল্লাম, 'বলো গুরু-কৃষ্ণ বৈষ্ণব, তখন কেশব , ব’ল্লে, ‘মহাশয়, এখন এত দুর নয় ; তাহলে লোকে গোড় ব’লবে । - “ত্রিগুণাতীত হওয়া বড় কঠিন। ঈশ্বর লাভ না করলে হয় না। জীব মায়ার রাজ্যে বাস করে। এই মায়া ঈশ্বরকে জানতে দেয় না। এই মায়া মানুষকে অজ্ঞান ক’রে রেখেছে । হৃদে একটা এড়ে বাছুর পেয়েছিল। এক দিন দেখি, সেটকে বাগানে বেঁধে দিয়েছে, ঘাস খাওয়াবার জন্য । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হৃদে ওটাকে রোজ ওখানে বেঁধে রাখিস কেন ? হৃদে ব’লে, ‘মামা, এড়েটকে দেশে পাঠিয়ে দিব। বড় হ'লে লাঙ্গল টানবে। “যাই এ কথা বলেছে আমি মূচ্ছিত হ’য়ে পড়ে গেলাম ! মনে হয়েছিল, কি মায়ার খেলা ! কোথায় কামারপুকুর সিওড়, কোথায় কলকাতা ! এই বাছুরট যাবে, ওই পথ। সেখানে বড় হ’বে । তার পর কত দিন পরে লাঙ্গল টানবে। এরই নাম সংসার,–এরই নাম মায়া ! অনেক ক্ষণ পরে মূৰ্ছা ভেঙ্গে ছিল ।”