পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠনঠনিয়াতে শশধর পণ্ডিত প্রভৃতি সঙ্গে । >@@ এই বলিয়া ঠাকুর গাত্ৰোখান করিলেন। বন্ধুবান্ধব সঙ্গে পণ্ডিত ভক্তিভাবে প্রণাম করিলেন । ঠাকুর ভক্তগণ সমভিব্যাহারে বিদায় গ্রহণ করিলেন। সপ্তম পরিচ্ছেদ । ঠাকুর ভক্তসঙ্গে ঈশানের বাটতে ফিরিয়া আসিলেন। এখনও সন্ধ্যা হয় নাই। ঈশানের নীচের বৈঠকখানায় আসিয়া বসিলেন। ভক্তের কেহ কেহ আছেন। ভাগবতের পণ্ডিত, ঈশান, ঈশানের ছেলেরা সকলে উপস্থিত আছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে ঈশান প্রভৃতির প্রতি ) ৷ শশধরকে বল্লাম, গাছে না উঠতে এক কাদি—আরও কিছু সাধন ভজন কর, তার পর লোক-শিক্ষা দিও। ঈশান সকলেই মনে করে যে আমি লোক-শিক্ষা দিই। জোনাকি পোকা মনে করে আমি জগৎকে আলোকিত করছি । তা একজন বলেছিল ‘হে জোনাকি পোকা তুমি আবার আলো কি দেবে –ওহে তুমি অন্ধকার আরও প্রকাশ করছে । , . . জীরামকৃষ্ণ ( ঈষৎ হাস্ত করিয়া)। কিন্তু শুধু পণ্ডিত নয় –একটু বিবেক বৈরাগ্য কাছে। ভাটপাড়ার ভাগবতের পণ্ডিতটিও এখনও বসিয়া আছেন । বয়স ৭•৭৫ হইবে। তিনি ঠাকুরকে একদৃষ্টে দেখিতেছিলেন। . . . . . ভাগবতপণ্ডিত (ঐরামকৃষ্ণের প্রতি ) । আপনি মহাত্মা : স্ত্রীরামকৃষ্ণ । সে নারদ, প্রহ্নপাদ, শুকদেব এদের বলতে পারেন ; আমি আপনার সন্তানের ন্যায় । - - “তবে একহিসাবে বলতে পারেন। এমি আছে ষে ভগবানের চেয়ে ভক্ত বড় —কেননা ভক্ত ভগবানকে হৃদয়ে ব’য়ে নিয়ে রেড়ায় । (সকলের আনন্দ) । ভক্ত ‘মোরে দেখে হীন, আপনাকে দেখে বড়। যশোদা কৃষ্ণকে বাধতে গিছলেন —যশোদার বিশ্বাস এই ছিল যে আমি কৃষ্ণকে না দেখলে তাকে কে দেখবে। "কখনও ভগবান চুম্বক পাথর, ভক্ত ছুচ,—ভগবান আকর্ষণ ক'রে ভক্তকে টেনে নেন। আবার কখনও ভক্ত চুমুক পাথর হন, ভগবান ছুচ, হন—ভক্তের । এত আকর্ষণ যে তার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে ভগবান তার কাছে গিয়ে পড়েন।’ । এইবার ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে প্রত্যাবর্তন করবেন। নীচের বৈঠকখানার দক্ষিণদিকে যে বারাও তাহাতে আসিয়া ধাড়াইয়াছেন। ঈশান প্রভৃতি ভক্তরাও ইয়া আছেন । ঈশানকে সম্বোধন করিয়া কৰাচ্ছলে অনেক উপদেশ দিতেছেন।