পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se8 ঐশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । ১৮৮৪, ২৬ অক্টোবর। তুমি পরমাত্মীয়নিৰ্ব্বিশেষে আলিঙ্গন করিতেছ। তোমার এক কষ্টিপাথর ভক্তি । তুমি কেবল দ্যাখো—অস্তরে ঈশ্বরে ভালবাসা ও ভক্তি আছে কি না । যদি তা থাকে, অমনি সে তোমার পরম আত্মীয়। হিন্দুর যদি ভক্তি স্টাখো, আমনি সে তোমার আত্মীয়—মুসলমানের যদি আল্লার উপর ভক্তি থাকে, সেও তোমার আপনার লোক—খ্ৰীষ্টানের যদি যীশুর উপর ভক্তি থাকে সেও তোমার পরম আত্মীয়। তুমি বল যে, সব নদীই ভিন্ন দিগেশ হইতে আসিয়া এক সমুদ্র মধ্যে পড়িতেছে। সকলেরই উদ্দেশু এক সমুদ্র । “ঠাকুর এই জগৎ স্বপ্লবৎ ব’লছেন না । বলেন, “ত হ’লে ওজনে কম পড়ে ।” মায়াবাদ নয়। বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ । কেন না, জীবজগৎ অলীক ব’লছেন না, মনের ভুল ব’লছেন না। ঈশ্বর সত্য, আবার মানুষ সত্য, জগৎ সত্য ! জীবজগৎবিশিষ্ট ব্রহ্ম। বীচি খোলা বাদ দিলে সব বেলটা পাওয়া যায় না। “শুনিলাম এই জগৎব্রহ্মাও মহাচিদাকাশে আবিভূত হইতেছে, আবার কালে লয় হইতেছে—মহাসমুদ্রে তরঙ্গ উঠিতেছে, আবার কালে লয় হইতেছে, আনন্দসিন্ধুনীরে অনন্ত-লীলালহরী ! এ লীলার আদি কোথায় ? অস্ত কোথায় ? তাহ মুখে বলিবার যো নাই—মনে চিন্তা করিবার যো নাই ! মাহুষ কতটুকু—তার বুদ্ধিই বা কতটুকু ! শুনিলাম, মহাপুরুষেরা সমাধিস্থ হয়ে সেই নিত্য পরম পুরুষকে দর্শন ক’রেছেন–নিত্য লীলাময় হরিকে সাক্ষাৎকার করেছেন। অবশু ক’রেছেন, কেন না ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণও বলিতেছেন। তবে এ চৰ্ম্ম চক্ষে নয়—বোধ হয় দিব্য চক্ষু যাহাকে বলে, তাহার দ্বার। ষে চক্ষু পাইয়া অৰ্জুন বিশ্বরূপ দৰ্শন ক’রেছিলেন ; যে চক্ষুর দ্বারা ঋষির আত্মার সাক্ষাৎকার ক’রেছিলেন ; যে দিব্যচক্ষুর দ্বারা ঈশ তাহার স্বৰ্গীয় পিতাকে অহরহ দর্শন করিতেন ! সে চক্ষু কিসে হয় ? ঠাকুরের মুখে শুনিলাম, ব্যাকুলতার দ্বারা হয়। এখন সে ব্যাকুলতা হয় কেমন ক’রে ? সংসার কি ত্যাগ করতে হবে ? কৈ, তাও তো জাজ ব’ল্লেন ন!”

  • . یا هر - ۶ م ها