পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । ১৮৮৫, ২২ অক্টোবর। SeSeS eeS eAMMeee AeAMAeAMAMAMAeeAMAMAMMAMAMAAAS AAAA ডাক্তার। ইন্দ্রিয়সংযম করা বড় শক্ত। ঘোড়ার চক্ষের দুদিকে ঠুলি দাও । কোন কোন ঘোড়ার চক্ষু একবারে বন্ধ করতে হয় । জীরামকৃষ্ণ । তার যদি একবার কৃপা হয়, ঈশ্বরের যদি একবার দর্শন লাভ হয়, আত্মার যদি একবার সাক্ষাৎকার হয়, তা হ’লে আর কোন ভয় নাই—তখন ছয় রিপু আর কিছু করতে পারবে না। - "নারদ, প্ৰহলাদ এই সব নিত্যসিদ্ধ মহাপুরুষদের অত ক’রে চক্ষের দুদিকে ঠুলি দিতে হয় না! যে ছেলে নিজে বাপের হাত ধ’রে মাঠের আলপথে চ’লছে, সে ছেলে বরং অসাবধান হ’য়ে বাপের হাত ছেড়ে দিয়ে থানায় পড়তে পারে। কিন্তু বাপ যে ছেলের হাত ধরে, সে কখনও খানায় পড়ে না।” ডাক্তার । কিন্তু বাপ ছেলের হাত ধরা ভাল নয় । শ্রীরামকৃষ্ণ । তা নয়। মহাপুরুষদের বালক স্বভাব। ঈশ্বরের কাছে তারা সৰ্ব্বদাই বালক । তাদের অহঙ্কার থাকে না । তাদের সব শক্তি ঈশ্বরের শক্তি, বাপের শক্তি, নিজের কিছুই নয়। এইটি তাদের দৃঢ় বিশ্বাস । [ বিচারপথ ও আনন্দপথ ; জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ । ] ডাক্তার। আগে ঘোড়ার চক্ষের দুই দিকে ঠুলি না দিলে, ঘোড়া কি এগুতে চায় ? রিপু বশ না হ’লে, কি ঈশ্বরকে পাওয়া যায় ? শ্রীরামকৃষ্ণ । তুমি যা ব’লছে, ওকে বিচারপথ বলে—জ্ঞানযোগ বলে । ও পথেও ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। জ্ঞানীরা বলে আগে চিত্তশুদ্ধি হওয়া দরকার। আগে সাধন চাই, তবে জ্ঞান হবে । “আবার ভক্তিপথেও তাকে পাওয়া যায়। যদি ঈশ্বরের পাদপদ্মে একবার ভক্তি হয়, যদি তার নামগুণগান করতে ভাল লাগে, তাহ’লে ইন্দ্রিয়সংযম আর চেষ্টা ক'রে করতে হয় না। রিপুর্বশ আপনা আপনি হয়ে যায়। “যদি কারও পুত্ৰশোক হয়, সেদিন সে কি আর লোকের সঙ্গে ঝগড়া করতে পারে, না নিমন্ত্রণে গিয়ে খেতে পারে ? সে কি লোকের সামনে অহঙ্কার ক’রে বেড়াতে পারে, না মুখ-সম্ভোগ করতে পারে ? বাদুলে পোক যদি একবার আলো দেখতে পায়, তা হ’লে কি সে আর অন্ধকারে থাকে ? له كي ডাক্তার (সহস্তে ) ৷ তা পুড়েই মরুক সেও স্বীকার ! স্ত্রীরামকৃষ্ণ । না গো! ভক্ত কিন্তু বাছলে পোকার মত পুড়ে মরে না। ভক্ত যে আলো দেখে ছুটে যায়, সে যে মণির আলো । মণির আলো খুব