পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৬ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । ১৮৮৫,২৫ অক্টোবর। তোমার এ পাগলাগারদে, কেহ হাসে কেহ কাদে, কেহ নাচে আনন্দ ভরে ; ঈশী বুদ্ধ শ্রীচৈতন্ত, ওম! প্রেমের ভরে অচৈতন্য, হায় কবে হব মা ধন্য, ওমা, মিশে তার ভিতরে । গানের পর আবার অদ্ভুত দৃশু ! সকলেই ভাবে উন্মত্ত। পণ্ডিত পাণ্ডিত্যাভিমান ত্যাগ করিয়া দাড়াইয়াছেন, বলচেন, "আমায় দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞান বিচারে । বিজয় সৰ্ব্ব প্রথমে আসন ত্যাগ করিয়া ভাবোন্মত্ত হইয়া দাড়াইয়াছেন। তাহার পরে শ্রীরামকৃষ্ণ । ঠাকুর দেহের কঠিন অসাধ্য ব্যাধি একবারে ভুলিয়া গিয়াছেন । ডাক্তার সম্মুখে । তিনিও দাড়াইয়াছেন। রোগীরও হুস নাই । ডাক্তারেরও হুস নাই । ছোট নরেনেরও ভাব-সমাধি হইল। লাটুরও ভাব-সমাধি হইল। ডাক্তার Science পড়িয়াছেন, কিন্তু অবাক হুইয়া এই অদ্ভুত ব্যাপার দেখিতে লাগিলেন। দেখিলেন, যাহাদের ভাব হইয়াছে, তাহাদের বাহ চৈতন্য কিছুই নাই ; সকলই স্থির, নিম্পন্দ —ভাব উপশম হইলে কেহ কাদিতেছেন, কেহ হাসিতেছেন। যেন কতকগুলি মাতাল একত্র হইয়াছে। পঞ্চম পরিচ্ছেদ । - [ ভক্ত-সঙ্গে । ] এই কাণ্ডের পর সকলে আবার আসন গ্রহণ করিলেন। রাত আটটা হইয়া গিয়াছে। আবার কথাবাৰ্ত্ত হইতে লাগিল । শ্রীরামকৃষ্ণ ( ডাক্তারের প্রতি ) ৷ এই যা ভাবটাব দেখলে তোমার Scienceএ কি বলে ? তোমার কি এ সব ঢং বোধ হয় ? : ডাক্তার (স্ত্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )। যেখানে এত লোকের হচ্চে সেখানে natural ( আস্তরিক ) বোধ হয়, ঢং বোধ হয় না। - - নরেন্দ্রের প্রতি)। যখন তুমি গাচ্ছিলে ’দে মা পাগল ক’রে আর কাজ নাই মা জ্ঞান বিচারে তখন আর থাকৃতে পারি নাই । দাড়াই আর কি ! তার পর অনেক কষ্টে ভাব চাপ লুল ; এই ভাবলুম যে display করা হবে না। শ্রীরামকৃষ্ণ ( ডাক্তারের প্রতি, সহাস্তে )। তুমি যে অটল, অচল, সুমেরুবৎ ( সকলের হাস্ত) তুমি গম্ভীরাত্মা, রূপসনাতনের ভাব কেউ টের পেতে। না—যদি ডোবাতে হাতী নামে, তা হ’লেই তোলপাড় হয়ে যায়, কিন্তু সায়ের