পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রাহ্মসমাজ দর্শন। । to പപ്പെ----ഘഘ-പ്പക്ഷഘഘ بقیه - ۹ حتی ه به اه বলে, সাকার, কেউ বলে, নিরাকার–আবার সাকারবাদীদের নিকট নানারূপের কথা শুনিতে পাই। এত গণ্ডগোল কেন ? - স্ত্রীরামকৃষ্ণ । যে ভক্ত যেরূপ দেখে, সে সেইরূপ মনে করে। বাস্তবিক কোনও গণ্ডগোল নাই। তাকে কোন রকমে যদি একবার লাভ করতে পারা যায়, তাহলে তিনিদিব বুঝিয়ে দেন। সে পাড়াতেই গেলে না—সব খবর পাবে কেমন ক’রে ? . -- . . . . "একটা গল্প শুন । একজন বাহে গিছিল । সে দেখলে যে গাছের উপর একটা জানোয়ার রয়েছে। সে এসে আর একজনকে ব’ল্লে—দেখ, অমুক গাছে একটা সুন্দর লাল রঙ্গের জানোয়ার দেখে এলাম। লোকটী উত্তর করলে, “আমি যখন বাহে গিছিলাম আমিও দেখিছি—ত সে লাল রঙ হ’তে যাবে কেন ? সে যে সবুজ রঙ আর একজন বল্পে, না ন-আমি দেখেছি ; হলদে। এইরূপে আরও কেউ কেউ বল্পে, ‘না জর্দা, ৰেগুনী, নীল ইত্যাদি। শেষে ঝগড়া। তখন তারা গাছতলায় গিয়ে দেখে, *झुनं লোক বসে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করাতে সে ব’লে, “আমি এই গাছতলায় থাকি, আমি সে জানোয়ারটাকে বেশ জানি-ভোমরা যায ব’ল্‌ছ,সৰ সঞ্জসে কখন লাল, কখন সবুজ, কখন হলদে, কখন নীল, আরওঁ সব কত কি হয়? আবার কখনও দেখি, কোনও রঙ নাই ।” 會,。 “অর্থাৎ যে ব্যক্তি সদা সৰ্ব্বদ ঈশ্বর-চিন্তা করে, সেই জান্তে পারে, তাঁর । স্বরূপ কি ? সে ব্যক্তিই জানে যে, তিনি নানারূপে দেখা দেন, নানাভাবে দেখ। দেন-তিনি সগুণ আঁবার তিনি নিগুণ। যে গাছতলায় থাকে, সেই জানে । যে, বহুরূপীর নানা রঙ—আবার কখন কখন কোন রঙই থাকে না। অন্ত লোকে কেবল তর্ক ঝগড়া ক’রে কষ্ট পায়।” - “কবীর ব’লতে, ‘নিরাকার আমার বাপ, সাকার আমার মা " । "ভক্ত যে রূপটা ভালবাসে, সেই রূপে তিনি দেখা দেন–তিনি যে ভক্তবংসল । পুরাণে আছে, বীরভক্ত হকুমানের জন্য তিনি রামরূপ ধরেছিলেন। . * কালীরূপ ও খামরূপের ব্যাখ্যা। অনন্ত’কে—জান । ] : “বেদান্ত বিচারের কাছে রূপ, টুপ, উড়ে যায়। সে বিচারের শেষ সিদ্ধাত্ত এই—ব্রহ্ম সত্য, আর নামরূপযুক্ত জগৎ মিথ্যা যতক্ষণ জামি ভক্ত এই অভিমান থাকে, ততক্ষণই ঈশ্বরের রূপ দৰ্শন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি (Person)