পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি খণ্ড । - ১০৭ কতু দশরথ ঠাকুরকে ল’য়ে যান। তিন চারি দিন তথা ধাকে ভগবান ॥ কৃষ্ণ গোষ্ঠ নাম পদ সঙ্কীৰ্ত্তন হয়। নদীয়াতে যেন ঐবাষ্ণুে আঙ্গিনায় ॥ মাতিল অনেক লোক প্রেমে উতরোল । ঘাটে পথে যেতে খেতে শুতে হরিবোল। গ্রামের পাষণ্ডী যারা বাধ্য নাহি তায়। কাছারীতে নায়েবের কাছে গিয়া কয় ॥ কি মত এ গ্রামে অনিয়াছে দশরথ । গ্রাম্য লোক নষ্ট হ’বে থাকিলে এ মত ॥ মেয়ে পুরুষেতে বসি একপাতে খায়। মেয়েদের এঠে খায় পদ ধুলা লয় ॥ _ পুরুষ ঢুলিয় পড়ে মেয়েদের পায় । মেয়ের ঢলিয়া পড়ে পুরুষের গায় ॥ দিবা নিশি হরিনাম পেয়েছে কি মধু। রাত্রি ঘুম পড়া নাই এ কেমন সাধু । ওঢ়াকাদি হতে হরি ঠাকুরকে আনে। সে ঠাকুর যেন কি মোহিনী মন্ত্র জানে। বুঝিয়াছি ইহার নিশ্চয় জানে যাদু। হরি বলে যায় চলে সতী কুল বধু ॥১ এ গ্রামে লেগেছে বাবু বড় হুলস্থল । গ্রাম্য নমঃশূদ্র দের গেল জাতি কুল।" কহঁপ মুনির বংশ গোত্রজ কাশুপ। দশরথ হ’তে সেই মান্ত হয় লোপ ॥ ইহার বিচার কর আনিয়া কাছারী। এই কাণ্ড আপনাকে দেখাইতে পারি ॥ ঠাকুর আছেন দশরথের ভবনে। । সকল প্রত্যয় হবে দেখিলে নয়নে ॥ রাত্রি কালে হুড়াহুড়ি শুনা যায় শব্দ। ছয় সাত দিন মোরা হয়ে আছি স্তব্ধ । নায়েব বলিছে এবে যাওঁ গো সকলে । আমাকে লইয়া ষেও কীৰ্ত্তনের কালে ॥ স্বৰ্য্যদেব ডুবে গেল সন্ধ্যাকাল এল। নাম গান কীৰ্ত্তনেতে সকলে মাতিল ॥ পুরুষ যতেক বসা পীড়ির উপরে। মহাপ্রভু বসেছেন গৃহের ভিতরে। দরজা নিকটে খোল করতাল বাজে। ঠাকুর আছেন বসি কীৰ্ত্তনের মাঝে ॥ রামাগণ অনেক বসেছে গৃহভর। মাঝে মাঝে হুলুধ্বনী দিতেছে তাহারা ॥ অজ্ঞান হইয় কেহ প্রেমে গদ গদ। কেহ বা প্রভুর অঙ্গে দিতেছে বাতাস । ঠাকুরের ঠাই বসি পরম উল্লাস। নাম গানে যবে প্রেম বন্যা বয়ে যায়। রামাগণে বামা স্বরে হুলুধ্বনী দেয় ॥ গৃহে বসিয়াছে রামাগণ সারি সারি। প্রভু পার্শ্বে কাদিতেছে মালাবতী নারী। কোনমারী ঠাকুরের চরণে লোটায়। '. কোননারী পদ ধরি গড়াগড়ি যায় ॥ .. ళ কোননারী কেঁদেছে হা হরি জগন্নাথ। শ্ৰীপদ ধোয়ায় কেহ করি অশ্রুপাত ॥ হেন কালে গ্রামীর নায়েবে ল’য়ে যায়। বাড়ীর উপরে নিয়া তাহকে বসায় ৷ দুই ভাগ করিয়া পীড়ার লোক সবে। চৌকি পাতি সমাদরে-বসায় নায়েবে . . . . . যেস্থান হইতে ঠাকুরকে দেখা যায়। . . এমন স্থানেতে নিয়া নায়েবে বসায়। রামাগণ বাহঙ্কান হারা সবে ঘরে। নায়েব বসিয়া সেই ভাব দৃষ্টি করে। হা নাথ বলিয়া কেহ শিরেধর পদ ॥ চতুর্দিকে নারী মাল৷ মালাবতী বামে। মৃদুস্বরে হরি বলে মত্ত হ’য়ে প্রেমে ॥ মালাবতী ভেসেছেন নয়নের জলে। স্কন্ধে হাত দিয়। হরি কেঁদনী মা বলে ॥ বদনে তাম্বুল চাবা চৰ্ব্বন যা ছিল। . কাশী সহ সেই চাবা ঠাকুর ফেলিল ॥ মালাবতী হস্ত পাতি ধরিল চৰ্ব্বন। . মস্তকে পরশ করি করিল ভক্ষণ ॥ ভক্ত পদ রঙ্গ ভুক্ত পাদধেীত জল । ভক্ত ভুক্ত শেষ এই তিন মহাবল । জগন্মাথ প্রসাদ কুকুর মুখ ভ্ৰষ্ট লভিতে বিরিঞ্চি বিষ্ণু শিবের অভীষ্ট । স্বয়ং ভগবান মুখ চৰ্ব্বিত চৰ্ব্বন। মালাবতী সতী তাহা করিল ভক্ষণ ॥ শীল যথা শত কুন্ত জলে সিক্ত নয়। প্রেমে দ্রবীভূত নয় পাষণ্ড হৃদয়। বিশেষ গ্রামী লোকের ছিল অনুরোধ। , তাহা দেখি নায়েবের উপজিল ক্রোধ ॥ ডেকে বলে দশরথে ওরে বনগরু । , . . মজাইবি দেশশুদ্ধ করে নিলি স্বরু। - چه

-