: ঐশ্রণিালীত । ভক্ত শ্ৰীহরিপাল উপাখ্যান ॥ ·霄孤1* : - -- গোলোক পালের পুত্র হরিপাল নামে। যশোহর অধিনে কেশবপুর গ্রামে ॥ ওঢ়াকাদি হরিচাদ নিকটে না যায়। .
- উদ্দেশুে মতুয়া হয়ে হরিগুণ গায় ॥
નિઃ । মতুয়া বলিয়া নাম প্রচার হয়েছে। এই সময়েতে তার হয়েছিল জর । জ্বরেতে অজ্ঞান প্রায় হইয়া বিকার ॥ তার পিতা ভয় ভীত হইয়া মনেতে । ডাক্তার আনিতে যায় ঔষধ খাওয়াতে ॥ অমনি চৈতন্য হয়ে হরিপালকৃয়। . হরি বোলা হয়ে কিঔষধ খাওয়া যায় ॥ হরি বোল হ’য়ে যেবা ঔষধ খাইল। . জানিবে সে হরি বোলা সেদিনে মরিল ॥ . তবে যদি বঁাচে কোন ঔষধি খাইয়ে । , সে বঁাচ সে মিছা বাচ বঁাচে কি লাগিয়ে ॥ আমি তারে মনেকরি জ্ঞান প্রাণ হত , মায়া দেহ কায় যেন ছায় বাঙ্গী মত ॥ " না রহে নৈষ্টিক তার নাম নিষ্ঠ হারা। দিন দুই চারি খেলা জীয়স্তে সেমরা ॥ ওঢ়াকাদি হরিচাদ হ’য়েছে উদয় । পতিত পাবন প্রভু বড় দয়াময় । , যাই যাই ভাবি আমি যাইতে না পারি। - শ্রবণে শুনেছি নাম চক্ষে নাহি হেরি ॥ না দেখিতে পারিলাম প্রভুর শ্ৰীঅঙ্গ . হেন কালে শুনিলাম লীলা হ’ল সাঙ্গ । গোলোকের নিত্য ধন গেলেন গোলোকে। উদ্যেশ্ৰে ভাবি ঔপদ মনের পুলকে ॥ শুনেছি সাধুর মুখে কহে পরস্পর। . আধর ঘূরিবি যে ধরেছে তারে ধর । অধর মানুষ যে ধরেছে ধরা পর। " " মানুষ পড়িবে ধরা সে মানুষ ধর । স্বৰ্ধক্লারায়ণ খুড়া ভুমুরিয়াপাছে। ঠাকুরের কথা শুনিয়াছি তার কাছে ॥ আমারে বাচাও যদি ওঢ়াক্টাদি যাও। হুকুম জানিয়া পিতা আমাকে বাচাও ! চলিল গোলোক পাল ওঢ়াকাদি বেতে। ' - ভুরিয়া গৈল স্বৰ্য নারায়ণে নিতে । কহিল আমার সাথে যেতে হ’বে ভাই। এ হরি পুত্র গুরুচাদে আনিবারে যাই ॥ সুর্য্য নারায়ণ এল হরি হরি বলে। তেতুল গুলিয়া খাওয়াইল হরিপালে । কাচি দধি পন্থি৷ ভাত খাওয়াইয়া দিল । কাচ জলে স্বান জর ধুয়ে ফেলাইল । স্বৰ্য্য নারায়ণে ল’য়ে পরামর্শ করে। বল খুড়া ওঢ়ার্কাদি যাই কি প্রকারে ॥ হরিচাদ জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রভু গুরুচাদ। সে প্রভু কেমন আমি দেখিব সেপদ । করিলেন দিন ধাৰ্য্য ওঢ়াকাদি যেতে। ঠিক হ’ল স্বৰ্য্য নারায়ণ যাবে সাথে । একখান নৌকা আছে বাওয়ালে পাঠা’বে। : নৌকা চালাইয়া শেষে ওঢ়াকাদি যাবে ॥ নৌকার চালান দিল বাওয়ালেতে গেল। বাদায় সুন্দরী বনে গাছ কেটে ছিল । চাদ পাই দক্ষিণে সে সুন্দরীর চকু। সে খানে কাটিল গাছ মনেতে পুলক ৷ গদাই নামেতে সেই বাওয়ালীর পাড়া । সেই চকে গাছ কাটে পড়ে গেল সাড়া । এ দিকেতে ওঢ়াকাদি মানসী করিয়া । পাড়ার বাওয়ালী সবে কাঠ কাটে সি’ খাটিয়া কাটিয়া নিয়া নৌকায় বাধিল । বাবা হরিচাদ বলি নৌকা ছেড়ে দিল । সে পাড়ায় নৌকা ছিল অষ্টাদশ ধান। সব নৌকা সায়রে র্যোয়ারে দিল টান । চিলা হ’তে নৌকা ছাড়ে যোরারের গোণে । রাত্রি দেখে নৌক রাখে মাকড়ের ঢোণে ॥__ নৌকা রেখে সবে ঘুমাইল বিহুশেতে। ভাট লেগে তরণী ডুবিল অৰ্দ্ধরেতে ॥ বাওয়ালীরা চারিজন নায় বাধে কাছি । চেচা চেচি করে বলে কিসে মোরা বাচি । ভোর রাত্রি চারিজন অদ্য নায় উঠে । বাড়ী এসে বলে হরিপালের নিকটে । দিন ভরে অনাহারে হরিপাল রয়। বাবা হরিচাদ বলে কাদৈ সৰ্ব্বদায় ॥ হত্যা দিয়ে থাকে শুয়ে দেখিল স্বপন । স্বপ্লাদেশে কহে এসে স্থৰ্য্য নারায়ণ ॥ তার ন৷ কাদিস বাছা হ’য়ে অর্থ লোভী। চলে যা নৌকার কাছে নৌকা গাছ পাবি , A.