পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়—হরিদাস তবে এটা সত্য কথা যে, রামচন্দ্র র্থ অতি দ্বরাচারী ছিলেন । তিনি যখন দেখিলেন, বৈষ্ণব হরিদাস জনসাধারণের ভক্তি প্রতি আহরণ করিয়া দিবারাত্র হরিনাম ধ্বনিতে স্থাবর জঙ্গম মধুময় করিয়া তুলিতেছেন, তখন তিনি আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। মধু, বিষ বলিয়া মনে হইল এবং সেই বিষধরকে নানা উপায়ে পীড়ন করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। একদা নিশীথে হরিদাস যখন নাম গানে উন্মত্ত, তখন তাহার কুটীরে অগ্নি সংযোগ করিলেন। শত শত প্রজা কোথা হইতে ছুটিয়া আসিয়া অগ্নি নিৰ্বাপিত করিল এবং পর দিন বড় করিয়া একখানি ঘর তুলিয়৷ দিল । রামচন্দ্র র্থার অনেক হাতী ছিল । তিনি হস্তি রক্ষকদের উপযুক্ত উপদেশ দিয়া হরিদাসকে হত্যা করিতে প্রেরণ করিলেন। হরিদাস একবার মধ্যাহ্নে ভিক্ষার্থে বহির্গত হইতেন ; একদা বাহির হইয়াছেন, সেই সময় হস্তি-যুথ আসিয়া তাহার পথ রোধ করিল। হরিদাস পিছাইলেন না— যুক্তকরে মুদ্রিত নয়নে কৃষ্ণকে ডাকিতে লাগিলেন। জানি না কেন, হস্তি-যুথ পৃষ্ঠ ভঙ্গ দিল। এই প্রকারে অনেক চেষ্টা চলিতে লাগিল, কিন্তু রামচন্দ্র র্থ কিছুতেই সফল মনোরথ হইলেন না । অবশেষে হরিদাসের ধৰ্ম্ম নষ্ট করিতে সঙ্কল্প করিলেন । চরিত্রহীন রামচন্দ্র থার হারানাম্নী এক বেখা ছিল । সম্ভবত তাহার রূপ ও বয়স যথেষ্ট ছিল ; গর্কেরও কিছু অভাব ছিল বলিয়া মনে হয় না। দেশের অধিপতি যাহার চরণে লুষ্ঠিত, তাহার ১৭ ૨