পাতা:শ্রীহংসদূতকাব্যম্‌.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 १३ ঐহংসদূতম্ যথা হি ভৃগুপতিধরণীং নিঃক্ষত্রিয়ামকরোং তৰং ত্বমপি পরমনৃশংসাচরণমবলম্ব্যাধুনা ত্বদ্ধিরহছুঃখার্ণবমন্নং গোকুলং প্রাণশূন্তং বিধাতুমুদ্যোগীত্যকুধবনিঃ । ১৩৩ অমুবাদ। হে যমুনাথ, এই আমার সর্থী আপনার দেহের প্রতি অতিশয় নির্দয়া হইয়া পৰ্ব্বত হইতে উহার পতনভিলাষ করিতেছেন । সেই কারণ রাধার প্রতি তুমি যে বিরহদানরূপ কাঠিন্য অবলম্বন করিয়াছ, তাহ পরশুরামরূপ—তোমার যুক্তিযুক্তই বটে। ভৃগুপতি শব্দের শ্লেষে পৰ্ব্বতের মত কঠোরত্বও এখানে ধ্বনিত হইতেছে । সেই ভৃগুপতির মত তোমার আচরণ দৃষ্ট হইতেছে। তোমার আকার দুজ্ঞের্ম, কারণ বাহিরে দেখিলে দ্বিভূজ মুরলীধারী পরম-সুকুমারশরীর ত্রিভুবনন্বন্দর মধুর যশোদানন্দই মনে হয় কিন্তু অন্তরে সেই নিষ্ঠুর ভৃগুপতি পরশুরামের ধৰ্ম্ম অদ্যাপি বিদ্যমান। তিনি ম্বেরূপ পৃথিবীকে নিষ্ঠুরভাবে ক্ষত্রিয়শূন্ত করিয়াছিলেন, এমন কি স্বীয় জননীকেও পিতার আদেশে মারিতে পশ্চাৎপদ হন নাই, সেইরূপ তুমিও বিরহসাগরে মগ্ন ব্রজকে প্রাণি-শূন্ত করিতে উদ্যত হইয়াছ । যেহেতু শ্ৰীব্রজরাজ-নন্দ, ধিনি পরম বৎসল ও অনাদিসিদ্ধ পিতৃরূপে তোমার সাক্ষাৎ গুরুবৰ্ঘ্য ; তাহাকেও তুমি বিশ্বত হইয়াছ । সেই নন্দরাজ আজ তোমার বিরহে ক্রনন করিয়া অন্ধ হইয়াছেন । .সেইজন্য তোমার আকার দেখিয় তোমার অন্তরের কাঠিন্য কিছুই উপলব্ধি হয় ন—স্বপ্নেও ঈদৃশ বিস্ময়জনক চরিত্রের কথা মনে উদিত হয় না । ১৩৩ নিরানন্দ গাবশ্চিরমুপহন্ত দূষণ-কুলৈঃ খরায়স্তে সঞ্চে। রঘুতলক । গোবৰ্দ্ধন-তটাঃ ।