পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় : পঞ্চখণ্ডের ব্রাহ্মণগণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৪১ এবং ঢাকাদক্ষিণ) তদীয় পদরেণু ধারণে পবিত্র মাতৃভূমিতে পরিণত হইতেছে। শ্রীহট্টের পার্শ্ববৰ্ত্তী স্থল গুলিতেও সেই প্রভাবের পরিচয় পাওয়া যাইবে, বিচিত্র কি? উত্তরদিকে সুসঙ্গদুর্গাপুরের হাজঙ্গগণ হইতে তাহারই নিদর্শন কি পাওয়া যাইতেছে না? শ্রীহট্টের রামদাস ও মাধবদাস শ্ৰীমহাপ্রভুর আদেশে উত্তরদিকে গিয়া “কেবল নাম প্রচারে" ইহাদিগকে তরাইয়া ه& | fEGETF জ্ঞানবর ও কল্যাণবর কোথায় কি করিয়াছিলেন জ্ঞানবর ও কল্যাণবর কি করিয়াছিলেন? ইহার নাম প্রচারার্থে পূৰ্ব্বদিকে গমন করেন বলা গিয়াছে। শ্রীহট্টের পূৰ্ব্বদিকে বৰ্ত্তমান কাছাড় জিলা কিন্তু তৎকালেত০ কাছাড়ের রাজধানী তদুত্তর প্রদেশে—ডিমাপুরে ছিল ৩১ তবে কাছাড়ের সমতল প্রান্তর তখনও হেড়ঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং সেই অঞ্চলে লোকের বসতি অতি বিরল ছিল। জ্ঞানবর কল্যাণবর সেই বিরল-বসতি স্থলে অল্পকাল অবস্থিতি করিয়া, সেই অল্প সংখ্যক জড়পূজক অধিবাসী মধ্যে বৈষ্ণব ধর্মের বীজ প্রোথিত করেন। অদ্যাপি যে ঐ অঞ্চলের জনসাধারণে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের মহিমা ও প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, তাহা সেই প্রচার কার্য্যের অবশেষ কি না কে বলিবে? জ্ঞানবর ও কল্যাণবর প্রচারান্তে হেড়ম্বেশ্বরের অধিকার হইতে ফিরিয়া আসিলেন। কাজ শেষ হওয়ায় আর তথায় থাকার প্রয়োজন হয় নাই। তাহারা তথা হইতে ফিরিয়া পঞ্চখণ্ডে আগমন করেন। সাম্প্রদায়িক বিপ্রবর্গের আদি ভূমি উন্নত স্থান পঞ্চখণ্ডতেই তাহদের প্রচারক্ষেত্রের কেন্দ্র হইয়াছিল বলিয়া অনুমিত হয়। এই বংশেই শ্রীরামমিশ্রের উদ্ভব।৩২ ২৯_“প্রভুর আজ্ঞা লৈয়া আইলা এ চারি গোসাই । রামদাস রাধবদাস উত্তরদিকে যাই॥ তথা যায়া বিলাইয়া প্রভুর আজ্ঞাবলে কেবল নাম প্রচারে সে দিকে তরাইলে ॥’-রসতত্ত্ব বিলাস । ৩০ খৃষ্টীয় ষোড়ষ শতাব্দীর প্রথম দশাদেঃ-(১৫০৯ খৃষ্টাব্দে?) ৩১. অধ্যাপক শ্রীযুক্ত পদ্মনাথ ভট্টাচাৰ্য বিদ্যাবিনোদ কৃত "হেড়ম্বের দণ্ডবিধির ভূমিকা" গ্রন্থে লিখিত আছে, "শ্রীযুক্ত গেইট সাহেবের মতে ১৫৩৬ খৃষ্টাব্দে আহোমগণ কর্তৃক ডিমাপুর বিধ্বস্ত হইলে পর কাছাড়ীগণ ধনশ্ৰী নদীর তীর ভূমি (ডিমাপুর) পরিত্যাগ করিয়া মাইবঙ্গে নূতন রাজধানী স্থাপন কবে । কিন্তু মাইবঙ্গের রাজধানীব নিৰ্ম্মাণ কার্য তৎকালেই সমাপ্ত হইয়াছিল। একথা বলা যায় না।"-১২ পৃষ্ঠা। ৩২. “কতদিন রহিলেন মিশ্র কল্যাণবরে । গৃহস্থ হৈয়া সুখে প্ৰভু কৃপাবলে৷ সে দেশের রাজস্থানে প্ৰভু ইচ্ছা যায়া । একদিন গোসাঞিকে ভকতি করিয়া । করযোড় করি কহে গোসাঞি সাক্ষাতে । চলু যাও মহাশয় পূরব দিগেতে৷ রাজআজ্ঞা লৈয়া মিশ্র পুত্রাদি সঙ্গে লইয়া । চৌদশত পাছতশাকে প্রাচ্যে উত্তরিলা॥ তাহার কুলেতে জন্ম শ্রীরূপ রামানন্দ । জয় জয় ইষ্টদেব প্রেম রসকন্দ॥ ইহেন গুরুপদে করিয়া বন্ধন । রসতত্ত্ব বিলাস গ্রন্থ কৈলা সুগঠন। পতিতের অগ্রজ রামানন্দ মতিহীন । সবস্রোতা পদরেনু মস্তক ভূষণ'-রসতত্ত্ব বিলাস ।