পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় : বড়লিখার পুরকায়স্থ কথা এবং প্রতাপগড়ের বিবরণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৮৫ বন্ধুর নামোল্লেখ করেন নাই। "করুণ তিনি মন্দ কিন্তু আমি তা তাহাকে মিত্র বলিয়া ডাকি, মিতা’ ডাকের অগৌরব করিব না" তাহার এতদুত্তরে যাহারা সেই কপটচারীকে ধরাইতে প্রয়াসী ছিল, তাহারা নিরস্ত হয় । এই দস্যতার পরে তাহার মনে হয় যে দেবার্থে ব্যয় না করিলে ধনের স্বার্থকতা নাই; তখন মহা আড়ম্বরে তিনি সাতবার ক্রমান্বয়ে নৌকাপূজা করেন ও সমাগত দর্শক বৃন্দকে ভূরি ভোজনে পরিতৃপ্ত করেন। আনন্দমোহনের ভ্রাতা রামমোহন স্বীয় সমাজের উন্নতি বিধানে বিশেষ যত্ন করেন; তৎপুত্র পদ্মলোচন জমিদারী কাৰ্য্যপরিচালনায় সুদক্ষ ছিলেন। ইনি নিজব্যয়ে স্বগ্রামে একটি গ্রাম্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, উহা অদ্যাপি আছে। তিনি কয়েকজন দীন ছাত্রের শিক্ষা ব্যয় বহন করিয়া তাহাদিগকে উপযুক্ত করেন; তদ্ব্যতীত ব্ৰজনাথ দে নামক জনৈক দুস্থ ব্যক্তির ৯০০০ নয় হাজার টাকার ঋণ এককালীন দান করিয়া, তাহাকে দায় মুক্ত করেন; তাহার হৃদয় কিদৃশ পরদুঃখ-কাতর ছিল, ইহাতেই বুঝা যায়। ঈদৃশ এক একটি ঘটনাতেই মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয় পাওয়া যায় এবং চিরদিন তাহাদের নাম অমর করিযা রাখে ৩২ ইহার পুত্র শ্রীযুক্ত দুলাল চন্দ্র চৌধুরী হইতে এই বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। ৩২ আদিপুরুষ ব্রাহ্মণ বিশিষ্ট ঈদৃশ আর একটি বংশ রাজারগাও নামক স্থানে দৃষ্ট হয়; এই বংশের আদি পরুষ ডেঙ্গু চৌধুরী দশসনা বন্দোবস্তের সময় রাঢ় দেশ হইতে আগমন পূৰ্ব্বক তথায় ১৯৬ রাজস্বযুক্ত এক ৩ণুক বন্দোবস্ত ক্রমে বাস করেন; ইহার পুত্র গুনাই নাথ, তৎপুত্র লালমোহন প্রভৃতির খ্যাতি পরিজ্ঞাত ।