পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় : বাণিয়াচঙ্গের ব্রাহ্মণ বিবরণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৮৫ হয়। বিশারদ জামাতা ও কন্যা সহ দেশে আগমন করিলে গোবিন্দ (হবিব খা) তাহাকে পূৰ্ব্বকথা মত বাণিয়াচঙ্গে কতক ভূমি প্রদান করেন; বিশারদ জামাতাকে উক্ত ভূমি প্রদান করতঃ তথায় বাস করিতে অনুরোধ করিলে, তিনি দশপাড়া নামক পল্লীতে আবাস বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করিতে থাকেন। মুরারি জামাতাকে সমস্ত ভূসম্পত্তিই দান করেন, এবং তাহার ভ্রাতা চৌগড়ের মধ্যে তদনুগ্রহে কতকটুকু ভূমি প্রাপ্ত হন, আদ্যাপি তথায় মুরারির ভ্রাতৃবংশীয়গণ বাস করিতেছেন; তাহাদের বাস হেতু এই পল্লী জাতৃকর্ণপাড়া বলিয়া খ্যাত হইয়াছে। মুরারির জামাতা রঘুনাথ কৃতী ব্যক্তি ছিলেন, অল্পকাল মধ্যেই তিনি সকলের শ্রদ্ধাভাজন হইয়া উঠেন, তাহার দুই পুত্র;২ ইহাদের নাম উমানন্দ ও জানকী বল্লভ। উমানন্দের রামানন্দ ও যাদবানন্দ নামে দুইপুত্র হয়। যাদবানন্দ বংশবিহীন; রামানন্দের তিন পুত্র ছিলেন, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ শ্রীহরি বাণিয়াচঙ্গের দেওয়ান সাহেবের উকীল স্বরূপে মুর্শিদাবাদে গমন করিয়া, দেওয়ানের একটি হিতজনক কাৰ্য্যোদ্ধার করায়, দেওয়ান তুষ্ট হইয়া তাহাকে বাণিয়াচঙ্গের চৌগড়ের মধ্যে কতক স্থান ও চৌধুরী উপাধি প্রদান করেন। এই স্থান প্রাপ্তে তিনি দশপাড়া ত্যাগ করিয়া তথায় আগমন করেন, তাহার বাসহেতু এস্থান “চৌধুরীপাড়া" বলিয়া খ্যাত হয়। এ পাড়ায় মোসলমানের বাস নাই। এই বংশীয়গণ পরে বাণিয়াচঙ্গের দেওয়ান হইতে স্বীয় কার্য্যের জন্য সম্মানসূচক “বিশ্বাস" পদবি প্রাপ্ত হন। এ বংশ অতি বিস্তৃত সংক্ষিপ্ত কথা নিম্নে লিখিত হইল। ২. সংক্ষিপ্ত বংশ তালিকা এস্থলে প্রদত্ত হইলঃ রঘুনাথ `19