পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। '\ON) দানা দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ দানা গুলি কিছুদিন পরে মিশিয়া গিয়া ভগ্নস্থান পূর্ণ হইতে থাকে, তৎপর আবার নূতন দানা দেখা দেয়। তদ্ব্যতীত শিবও ধীরে ধীরে ক্রমশঃ প্রবর্দ্ধিত হইতেছেন। ধীরতার জন্য প্রবর্দ্ধন ক্রিয়া চক্ষে ধরা যায় না। যে শিব প্রথমে অঙ্গুষ্ঠ পরিমিত ছিলেন, এই আটশত বর্ষে তিনি প্রায় তিনহাত উচ্চ ও পাচ হাত পরিধি বিশিষ্ট হইয়া দাড়াইয়াছেন। এই শিবও মন্দিরে থাকেন না ; ব্রহ্মচারী মন্দির প্রস্তুতের উদ্যোগ করিলে ‘আমি মন্দিরে থাকিতে ভালবাসি না এইরূপ স্বপ্নাদেশ হইয়াছিল। বর্তমানে বাচস্পতি বংশে ষড়বিংশ পুরুষ চলিতেছে । * ( ব্রহ্মকুণ্ড ও তপ্তকুণ্ড । ) ব্ৰহ্মকুণ্ড পাৰ্ব্বত্য ত্রিপুরার অন্তর্নিবিষ্ট হইলেও ইহা শ্ৰীহট্টের লোকেরই তীর্থ। ইহা কাশিমনগর পরগণার সীমান্ত রেখার অতি নিকটে অবস্থিত। আসাম বেঙ্গল রেইলওয়ের মনতলা ষ্টেশনে অবতরণ করিয়.এ স্থানে যাওয়া যায়। ব্ৰহ্মকুণ্ড একটি পাৰ্ব্বত্য উৎস। ত্রেতাযুগে পরশুরাম মাতৃবধান্তর কুঠার পরিত্যাগের উদেখে নানাস্থানে ( তীর্থে) ভ্রমণ করতঃ স্থানে স্থানে আঘাত করিয়া কুঠার ত্যাগের চেষ্টা করেন। আসাম সাদিয়ার পূৰ্ব্বে ব্ৰহ্মকুণ্ডে তাহার হস্তস্থিত কুঠার পরিত্যক্ত হয় । তিনি এই পথে আসাম গমন কালীন, এইস্থানে আসিয়া মৃত্তিকায় কুঠারাঘাত করিয়া ছিলেন, এবং তাহাতেই এই কুণ্ডের উৎপত্তি হয় বলিয়া কথিত আছে। এই কুণ্ডের আকৃতি ক্ষেপনী বা প্যারাবোলার ক্ষেত্রের ন্যায়। ক্ষেপনীর বক্ররেখা কুণ্ডের পশ্চিমোত্তর কোণ হইতে আরম্ভ করিয়া পশ্চিম দক্ষিণ কোণে শেষ হইয়াছে। কুণ্ডের পশ্চিম সীমা সরলরেখা বিশিষ্ট, এই সরল छन७धंदोंण !

  • শিবের ভূপ্রোথিত নিম্নভাগের চতুর্দিক পদ্মের পাগড়ীর ন্যায়। ২৫/৩০ বৎসর হইল, পূজার সুবিধার জন্য একটি বেদী প্রস্তুত করা হয় । সেই সময় তিন হাত পৰ্য্যস্ত খনন করা হইয়াছিল । ঐ সময় একটি পাপড়ীতে খনিত্রের আঘাত লাগায় প্রথমে স্বেতবর্ণ ধারণ করিয়া, ক্ষণপরে কৃষ্ণবর্ণ হইয়া যায়। এতদৃষ্ট্রে ভয়ৰশতঃ তৎক্ষণাৎ কাজ সমাধা করা হয় ।

তুঙ্গনাথের উচ্চতা ২ হাত ১৪ অঙ্গুলি, পরিধি পাচ হাত ১৬ অঙ্গুলি।