পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:y শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [२ङ्ग डो; ४ग १اوا জনোচিত ঝঙ্কার প্রদর্শন করিয়াছিলেন,সেই স্থানে পাঁচজন মহামহিম ব্রাহ্মণকে ভূমিদান করিবার কালে “সমাজ্ঞং দত্তপত্রঞ্চ” “প্রালভ্য দত্ত তভূমিঃ” “প্রদত্তা দত্ত পত্রিকা" এইরূপ ভাষায় অম্বষ্ট পছন্দে মাত্র পটু () কেবল কাজের কথা টুকু কষ্টে স্বষ্ট্রে ছন্দোবন্ধকারী একজন লোক ভিন্ন তাম্রশাসন লিখিবার আর কাহাকেও পাওয়া গেল না । (২) দুই তাম্রফলকের ভাষার সমত্ব । দুইখানি তাম্রফলকের তারিখের সাৰ্দ্ধ পঞ্চশত বৎসরের পার্থক্য থাকিলেও দুইখানি যেন একই ছাচে লিখিত । সেই “ত্রিপুরা পৰ্ব্বতাধীশং শ্ৰীশ্ৰীযুক্ত," সেই “সমাজ্ঞং দত্ত পত্রঞ্চ” প্রভৃতি উভয়েই বৰ্ত্তমান। তখন ছাপার ফারম অবশু্যই ছিল না, থাকিলেও শাসনপত্রে ব্যবহৃত হওয়ার কথা শুনা যায় নাই। একই ব্যক্তি এক সঙ্গে দুইখানি রচনা করিয়াছেন, এই মাত্রই স্থচিত হয় । (৩) “আদিধৰ্ম্মপা"র আদি এই বিশেষণ টুকুর অর্থ কি ? মনে করুন ইংলণ্ডে প্রথম উইলিয়মকে কোনও আদেশ পত্র জারি করিতে হইবে । তখনও আর দ্বিতীয় উইলিয়মের উদ্ভব হয় নাই যে র্তাহাকে ‘প্রথম এই বিশেষণ গ্রহণ করিতে হইবে । সুতরাং তিনি কেবল 'উইলিয়ম’ এই লিখিবেন । দ্বিতীয় উইলিয়মের আবির্ভাবের পরবত্তী ঐতিহাসিকগণই কেবল র্তাহার কথ। বলিতে গিয়া ‘প্রথম উইলিয়ম? এইরূপ লিখিবেন । (৪) “শ্ৰীশ্ৰীযুত” এই বিশেষণ আজকাল ত্রিপুরার রাজ সরকারের কাগজ পত্রে ব্যবহার হয় ; বহুপূৰ্ব্বে এইরূপ ভাষা ছিল না। (৫) পণ্ডিত শুক্রেশ্বর ও বাণেশ্বর শ্রীহট্ট দেশীয় ছিলেন। তাহারা রাজমালা রচনা করিয়া গিয়াছেন। তাহাতে এই যজ্ঞ কাহিনী, শ্রীহট্টের সাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মণস্থাপন, ব্ৰহ্মত্র দান সম্বন্ধে কোন উল্লেখ নাই । অথচ রাজমালায় আদি ধৰ্ম্মপার বহু পূর্বের সময় হইতে বিবরণ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। (৬) ত্রৈপুর শালের উল্লেখে প্রাচীন তাম্রশাসনে রহিল, অথচ তাহার বহু পশ্চাৎ সময়ে ত্রিপুরার শাসনে শকাব্দের ব্যবহার দেখা যায়। দানপত্রের প্রতিকূলে এই সকল আপত্তি করা যাইতে পারে। সমগ্র বৈদিক সংবাদিনীতে এইরূপ অনেক আপত্তিজনক কথা স্থান পাইয়াছে, তন্মধ্যে