পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক বিবরণ ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। Y? ജമ്മ বরবক্র বা বরাক নদী মণিপুরের উত্তরে জাঙ্গামীনাগা পাহাড় । বরবক্র হইতে উৎপন্ন হইয়া, প্রথমতঃ দক্ষিণাভিমুখে মণিপুর দির 鹏 প্রায় ১৮০ মাইল প্রবাহিত হইয়াছে ; তৎপর কাছাড় জিলায় প্রবেশ করিয়াছে। কাছাড় জিলার পূর্ব সীমা পৰ্য্যন্ত নৌকা চলিতে পারে, তাহার উপর দিক নৌগম্য নহে। বরাক নদী কাছাড় জিলা ভেদ করিয়া, কাৰুপুরের কাছে শ্ৰীহট্ট জিলায় প্রবিষ্ট হইয়াছে। তথা হইতে সাত মাইল প্রবাহিন্ত হইয়া দুই প্রধান শাখাতে বিভক্ত হইয়াছে। উত্তর শাখা সুরম্য বা স্বয়া নামে খ্যাত এবং দক্ষিণ শাখার নাম কুশিয়ারা বা বরাক। 源 (১) কুশিয়ারা বা বরাক—ভাঙ্গার বাজারের নিকট মূল বরাক নদী হইতে নির্গত হইয়া, স্থানে স্থানে বিভিন্ন নাম ধারণ পূর্বক বাহাদুরপুরের নিকট পুনঃ দ্বিশাখায় বিভক্ত হইয়াছে। (ক) উত্তর বা প্রথম শাখা বিবিয়ান নাম ধারণ পূৰ্ব্বক কালনীয় সহ মিশিয়া ধলেশ্বরী নদীতে পড়িতেছে । (খ ) দক্ষিণ বা দ্বিতীয় শাখা বরাক নামেই নবিগঞ্জ, হৰিগঞ্জ হইল্প ঐ ধলেশ্বরীত্তেই পড়িতেছে। কুশিয়ারা বা বরাক নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ মাইল । মূল নদী তীরে—ভাগ বাজার, করিমগঞ্জ, ফেচুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, মনুমুখ প্রভৃতি। বিবিয়ানা তীরে—শেরপুর, ইনায়েতগঞ্জ, মারকলি প্রভৃতি। এই পথে শিলচার পর্যন্ত বারমাস ষ্টিমার চলিতে পারে। দক্ষিণ শাখা ( বরাক ) তীরে—নবিগঞ্জ, কালিয়ার ভাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রতনপুর, সুজাতপুর, বাজুকা । (২) সুরমা—হরুটিকরের নিকট মূল বরাক নদী হইতে বিভক্ত হইল্প উত্তর পশ্চিম ও পশ্চিমাভিমুখে মুনামগঞ্জ পর্য্যন্ত গিয়াছে, তৎপর দক্ষিণাভিমুখী হইয় দিরাই দিয়া মারকলির নিকট বিবিয়ানার সহিত মিলিত হইয়াছে। ইহার তীরে—আটগ্রাম, কানাইরঘাট, রামদ,গোলাপগঞ্জ, শ্ৰীহট্ট, সাহাগঞ্জ, গোবিনাঞ্চ, ছাতক, দুহালিয়া, আমবাড়ী, সুনামগঞ্জ, পাথারিয়া, দিরাই প্রভৃতি। মুরমার দৈর্ঘ্য দুইশত মাইলেরও অধিক। " (ক) কালনী—বিবিয়ানার সহিত সুরমা সংমিলিত হইয়া কালনী নাম ধারণ করিয়াছে। তীরে—রণভূঞি ।