পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় । ] ইটার রাজা। ’ ›ፀፃ এই সময় পক্ষধর মিশ্র “সামান্য লক্ষ্মণা” নামে গ্রন্থ লিখিতে ছিলেন, রঘুনাথ এই গ্রন্থে একদা দোষ ধরেন। ইহাতে মিশ্র রঘুনাথকে বলিলেন,— ‘কাণ, তুমি কি বিশেষ হেতুতে ‘সামান্য লক্ষণ অস্বীকার কর "* কাণ বলিলে রঘুনাথের মনঃপীড়া জন্মিত, তিনি অধ্যাপকের কথায় উত্তর করিলেন,“যিনি অন্ধকে চক্ষুষ্মান করেন, শিশুরও জ্ঞাননেত্র উন্মীলন করেন, তিনিই যথার্থ অধ্যাপক, তদ্ব্যতীত (অন্যায় তর্কপ্রিয় ) অন্যে অধ্যাপক নামধারী মাত্র '+ এই স্থত্রে উভয়ের মধ্যে বিচার আরম্ভ হইল। রঘুনাথ “অল্পকাল পরেই শাস্ত্রীয় বিচারে পক্ষধরকে পরাস্ত করিয়া নরদ্বীপের প্রাধান্য স্থাপন এবং ভবিষ্যতে ছাত্রগণকে ন্যায় শিক্ষা ও উপাধি লাভের জন্য আর মিথিলায় যাইতে না হয়, সেই উদ্দেশ্য সম্যক সাধন করিয়া** মিথিলা হইতে ফিরিয়া আসেন। তিনি অধ্যয়ণচ্ছলে প্রশ্ন করিয়া অধ্যাপক পক্ষধরকে অনেকবার বিচারে পরাস্ত করিয়াছিলেন, তাহাতে অধ্যাপক র্তাহার উপর পরম সন্তুষ্ট হন, এবং তাঁহাকে ছাত্রগণ মধ্যে সৰ্ব্বোচ্চ আসন প্রদান করেন ; কেননা পণ্ডিতেরা পুত্র ও শিষ্যের নিকটেই পরাজয় প্রার্থনা করেন,—‘সৰ্ব্বত্র জয়মিচ্ছস্তি পুত্ৰাৎ শিন্যাৎ পরাজয়ম্।। ৪৪ • “বক্ষোজপানকৃৎ কাণ সংশয়ে জাগ্ৰতি ফটুম্। সামান্ত-লক্ষণা কৰ্ম্মাদকৰ্ম্মাদবলুপ্যতে ।” * "যোহন্ধং করোত্যক্ষিমস্তং যশ্চ বালং প্রবোধয়েৎ । 疆 তমেবাধ্যাপকং মস্কে তদন্তে নাম ধারিণঃ * ++ "মিথিলার প্রাধান্য রক্ষার্থে পণ্ডিতগণ কোন ছাত্রকে স্তায়ের গ্রন্থ নিজদেশে নিতে দিতেন না। রঘুনাথ দেশে আসিবার সময় অধ্যাপক বলিলেন—এ দেশ হইতে পুস্তক লইয়া যাইবার রীতি নাই। রঘুনাথ বললেন—“আমার নাম রঘুনাথ, বাঁচিয়া ধাকিলে আর বদেশীয়কে মিথিলায় তা পড়িতে আসিতে হইবে না। ইহার কারণ, রঘুনাথের অনেক স্থায় গ্ৰন্থই কণ্ঠস্থ হইয়াছিল। এই উপায়ে বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমও বঙ্গদেশে স্থায় লইয়া যান। রঘুনাথের দ্বারা গ্রন্থের অভাব সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয় ।” 鰻 —সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা। S$ बप्त्रब जॉर्डौम्न हेडिंशंग-२ग्न उॉर्ण ।