পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bौकां । ] সপ্তম ও অষ্টম অধ্যায়ের টীকা ›ፃ © ‘অষ্টাবিংশতি প্রদীপ প্রণেতা মহেশ্বর ন্যায়ালঙ্কার, শিরোমণির ভ্রাতা ছিলেন। রঘুনাথ (বিন কারণেই ?) নবদ্বীপবাসী হন এরং মহেশ্বর শ্ৰীহট্টাধিপতি গোবিন্দের সভাসদ হইয়াছিলেন । এই গোবিন্দ দিল্লীশ্বরের সেনা কর্তৃক বিজিত হন । কারণ–গোবিন্দের প্রতাপে দিল্লীশ্বর ‘সন্তপ্ত হইয়াছিলেন (!), এবং তাহাতেই গোবিন্দের রাজ্য-জয়ে ‘যবন চমূ প্রেরিত হয়, যথা :– “তস্য প্রতাপ সন্তপ্ত দিল্লীরাঢ় যবনেশ্বরঃ । গোবিন্দ রাজ্য মাহৰ্ত্তং প্রেরয়ামাস তাং চমূং।” ইত্যাদি। গৌড় গোবিন্দ রাজার সময় নিৰ্দ্ধারণ বিষয়ে মতান্তর থাকিলেও ১৩৮৪ খৃষ্টাব্দের পরে যে শ্ৰীহট্ট যবন সৈন্ত কর্তৃক বিজিত হয় নাই, ইহা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সুতরাং , গোবিন্দের সভাসদ যিনিই হন, এই সময় তাহার বিদ্যমানতার কথা বলা যাইতে পারে । কিন্তু প্রসিদ্ধ রঘুনাথ শিরোমণি খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগের লোক, তাহার ভ্রাতা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগে কিরূপে জীবিত থাকিতে পারেন ? বস্তুতঃ রঘুনাথ, মহেশ্বরের ভ্রাত নহেন, বৈদিক পুরাবৃত্তের অসংলগ্ন অশ্রদ্ধেয় কথায় আস্থা স্থাপন করা যাইতে পারে না । অষ্টাবিংশতি প্রদীপ প্রণেতা শ্ৰীহট্টের গৌরব মহেশ্বর ন্যায়ালঙ্কার ষে শিরোমণির পরবর্তী, তাহ প্রমাণিত হইয়াছে। o “গোপাল ভটের জীবনী দৃষ্টে জানা যায় যে, গোপাল ভট ১৪৫৩ শকে বৃন্দাবন গমনের পর, হরিভক্তি বিলাস’ প্রণয়ন করেন। সনাতন গোস্বামী ১৪৭৬ শকে ঐ গ্রন্থের দিকদৰ্শিনী ও ভাগবতের বৈষ্ণবতোষনী* টীকা লিখা শেষ করেন। যথা –‘শাকে ষট সপ্ততি মনে পূর্ণেয়ং টিল্পনীশুভ। এই গ্রন্থ বৃন্দাবন হইতে নবদ্বীপ পর্য্যন্ত আনিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করিতে নৃনিকল্পে ১৫১৬ বৎসর কাল অতীত হইয়াছিল।” “স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন তৎপ্রণীত আহ্নিক ও একাদশীতত্বের বিষ্ণু পূজা প্রকরণে তদীয় মত উদ্ধৃত করিয়াছেন। এতদ্বারা পঞ্চদশ শত শকের শেষ ভাগে ঐ গ্রন্থ প্রণীত হওয়া দৃষ্ট হয়। স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য তাহার গ্রণীত VSawy