পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b/ ভৌগোলিক বৃত্তাপ্ত । [ ১ম ভাঃ ৪ৰ্থ অঃ করিয়া গিয়াছেন। * ইটার কেওয়ালীর পূৰ্ব্বে জুতা প্রস্তুত করিত, দেশীয় লোক তাহাই ব্যবহার করিত। শ্ৰীহট্ট জিলার আতর প্রসিদ্ধ। পাথারিয়া পরগণায় আগর কাষ্ঠ হইতে উৎকৃষ্ট আতর প্রস্তুত হয়। পিঠাকর নামক এক জাতীয় বৃক্ষের সার কাষ্ঠ চুৰ্ণ করতঃ তাহা চোয়াইয়া আতর প্রস্তুত করে। আতর প্রস্তুতের কাষ্ঠ পরিচয় করা সহজ নহে, সকল বৃক্ষেই আতর হয় না. অনেক বৃক্ষই আগরের ন্যায় গন্ধবিশিষ্ট হইলেও চোয়াইলে আতর বাহির হয় না, এইরূপ কাষ্ঠকে "আষ্ঠাং বলে। আতর প্রস্তুত হইয়া গেলে আগরচুর্ণ রাশি ফেলিয়া দেয় না, ইহাও কাজে লাগে। আগর-চুর্ণে মণ্ড মিশাইয়া উৎকৃষ্ট ‘ধূপ প্রস্তুত করা হয়। দেবাৰ্চনাকালে ধূপ ও আগরচূর্ণ, উভয়ই জ্বালান হয়। ইহার গন্ধ মনোহর। আগরের আতর মোসলমানদের অতি প্রিয় পদার্থ ; প্রাচীন কালাবধি ইহার আদর সমভাবে আছে । আরব প্রভৃতি দেশেও আগরের আতর প্রশংসনীয়। আগর ব্যতীত নাগেশ্বর ফুল হইতে একরূপ আতর প্রস্তুত হয় ; বিশুদ্ধ নাগেশ্বরী আতরের গন্ধ সুদীর্ঘকাল স্থায়ী। গন্ধ ও খাদ্য-শিল্প ।

  • ১৮০৫ খৃষ্টাব্দে লক্ষেীবাসী শের আলী জাফর • আফেল-ই-মাহফিল” নামক উর্দু,

গ্রন্থে গ্রীহট্টের বিবরণে এই বিষয়ে লিখিয়াছেন :–সিলেট, ইহা একটি পাৰ্ব্বত্য নগর। এখাকার গণ্ডার চর্মের ঢালের ন্যায় সুন্দর ঢাল ভারতবর্ষের কোন স্থানে প্রস্তুত হয় না। এখানকার কমলা লেবু প্রসিদ্ধ। পাহাড়ে মুসৰ্ব্বর গাছ আছে। ইত্যাদি। ঢালের উৎকর্ষ বিষয়ে হামিণ্টন সাহেব লিখিয়াছেন – “Shields made in Sylhet have long been noted throughout India for their lustre and durability of the black varnish with which they are covered.” W. Humilton's East India Cazetteer vol 11—1828. p552. + “In Patharia, a kind of Athar is prepared of the wood called Agor, which exported to Calcutta for despatch to Arabia and Turkey. Agor is found on trees called Pithakara.” Hunter's Statistical Accounts vol II (sylhet) p 23. পাথারিয়া ও ঢাকাদক্ষিণেই আগর চোয়ান হয়। আজিমগঞ্জের হামিদ আলী চৌধুরীর আতর প্রস্তুতের বিস্তৃত কারবার আছে। \