পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৭৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y S 8 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । সমর্থ হইলেন না, ব্রহ্মরাজ তাহার অনুসরণে কাছাড় আক্রমণ করেন। মারজিংকে ও গোবিন্দচন্দ্রের সমদশা লাভ করিতে হইল,—তিনিও ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের সাহায্য প্রার্থী হইলেন। ১৮২৪ খৃষ্টাব্দের ৫ই মার্চ গবর্ণরজেনারল ব্রহ্মযুদ্ধ ঘোষণা করেন। ঘোষণা পত্রে লিখিত হয় যে গবর্ণমেণ্টের আশ্রিত কাছাড় রাজ্যে ব্রহ্ম সৈন্য প্রবেশ ব্ৰহ্ম যুদ্ধ ও করায় গবর্ণমেণ্ট অস্ত্র ধারণ করিতে বাধ্য হইলেন। বদরপুরের সন্ধি । যে দিবস লর্ড আমাহাষ্ট" এই ঘোষণা প্রচার করেন, তাহার পরদিন গবর্ণরজেনারলের এজেণ্ট স্কট সাহেব বদরপুরে গোবিন্দচন্দ্রের সহিত সন্ধি পত্র সাক্ষর করেন, তাহাতে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বহিঃশত্র হইতে চিরদিন কাছাড় রাজ্য রক্ষা করিতে প্রতিশ্রুত হন । ইহাও নিৰ্দ্ধারিত হয় যে যুদ্ধাবশানে কাছাড়পতি দশ সহস্র মুদ্র বার্ষিক কর প্রদান করিবেন। জুন মাসে বারশত সৈন্য লইয়া কর্ণেল ইনেস (Colonel Innes) সাহেব কাছাড় যাত্রা করতঃ যাত্রাপুর অধিকার করেন; যাত্রাপুর অধিকৃত হওয়ার পর দুধপাতিল নামক স্থান অধিকৃত হয় এবং মণিপুর পর্য্যন্ত একটি রাস্ত প্রস্তুতের জন্য কাৰ্য্যারম্ভ হয়। কিন্তু বৃষ্টি প্রভৃতির প্রতিবন্ধকে ও স্থানের দুর্গমতায় রাস্তা প্রস্তুতের কাজ অধিক অগ্রসর হইতে পারে নাই। এই উদ্যমে বহুতর বলীবর্দ ও অনেকটি হস্তী বিনষ্ট হয়, ইনেস চালিত সৈন্তও কাছাড় উদ্ধারান্তর প্রতি নিবৃত্ত হয়। ব্রহ্ম সৈন্ত সমূহ কাছাড় হইতে মণিপুরে গিয়া আড করে। ব্ৰহ্ম সৈন্য কর্তৃক মণিপুর অধিকৃত হইলে মণিপুরের বহুতর প্রজা পলায়ন করিয়া কাছাড় ও শ্রীহটে আগমন পূর্বক উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল। এই সময়েই গম্ভীরসিংহ পাঁচশত অমুচর সহ শ্ৰীহটে আগমন করেন। শ্রীহট্টের মণিপুরী রাজবাটা এই সময়েই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। গত ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের ভীষণ ভূকম্পে উক্ত রাজgeবিধ্বস্ত হইয়াছে। গবর্ণমেণ্টের আশ্রয়ে গম্ভীরসিংহ শ্ৰীহট্টে বাস করিতে লাগিলেন, তাহার গম্ভীরসিংহ সৈন্যদিগকে গবর্ণমেণ্ট অস্ত্রশস্ত্ৰ দিয়া পরিপুষ্ট ও ਗ਼ੈਲੀ | সুশিক্ষিত করিলেন । ইহাতে অবশ্যই গবর্ণমেণ্টের স্বউদ্দেশ্য ছিল । এই সৈন্ত সংখ্যা ক্রমে দ্বিগুণ হইতেও অধিক হইয়াছিল।