পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড L] শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১৬৬ রসদাদি প্রদানে গবর্ণমেন্টের সহায়তা করেন ২ গবর্ণমেন্ট তৎপ্রতি এরূপ সন্তুষ্ট হন যে বিনা পাশে তাহাকে পাঁচটি বন্দুক ব্যবহারার্থ রাখিবার ক্ষমতা দিয়া সম্মানিত করেন।” এই সমস্ত বন্দুক প্রধানতঃ তিনি হাতী খেদার সময়ে ব্যবহার করিতেন। তাহাকে অনারেরী ম্যাজিস্ট্রেটের পর গ্রহণে অনুরোধ করা হয়, তিনি এই পদ গ্রহণে ইচ্ছুক হন নাই। ডিষ্ট্ৰক্ট বোর্ড থাকা কালে তিনি উহার এবং পরে লোকেল বোর্ডের সৃষ্টি কাল হইতে, করিমগঞ্জ লোকেল বোর্ডের সদস্য ছিলেন। কিন্তু এ সকলেই তাহার মহত্ব নহে, তিনি যখন সকলকে খাওয়াইতেন, স্বয়ং অনাহারে থাকিয়া ভোজন পৰ্য্যবেক্ষণ পূৰ্ব্বক ইতর ভদ্র সকলকেই ঠিক সমান ভাবে খাওয়াইয়া তৃপ্ত হইতেন, তখনই তাহা প্রকটিত হইত। তিনি দরিদ্র ইতর ব্যক্তিদিগকে স্বয়ং পরিবেশন করিয়া দিতেন ও তাহাদের সাধ মিটাইয়া নিজ সাধ মিটাইতেন। অর্থাভাবে ভাল খাইতে পান না, এই জন্য সম্বল বিহীন ব্রাহ্মণ, উদাসীন সন্ন্যাসী তাহার গৃহে প্রতিনিয়ত অবস্থিতি করিতেন। শঙ্কররামের উল্লেখ করা গিয়াছে, ইহার পুত্রও পিতার ন্যায় পবিত্র চিত্ত ব্যক্তি ছিলেন। এবং পৌত্র রামগোবিন্দ সৰ্ব্বদা হরি নাম গ্রহণ করিতেন। দৈনিক দ্বি-লক্ষ নাম জপের তাহার নিয়ম ছিল; ইহার জ্যেষ্ঠপুত্র উকিল রত্নাগোবিন্দ চৌধুবী প্রকৃতই রত্ন স্বরূপ ছিলেন। তাহার ভগবদ্ভক্তি অতুলনীয় ছিল এবং তিনি এক বিখ্যাত বৈষ্ণব কবি বলিয়া খ্যাত হইয়াছিলেন। শ্রীহট্ট শহরের কবি রাসবিহারী দত্তের কবিতা ও তাহাব কবিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও তুলনা চলিত। সরসতায়, সারল্যে, প্রাঞ্জলতায় প্রাচীন মহাজনী পদ হইতে র্তাহার পদ ভিন্ন বলিয়া বোধ করা যায় না। তাহার পদ মাধুর্য্যে মুগ্ধ হইয়া বৃন্দাবনের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত গৌরশিরোমণি ও বৃন্দাবনচন্দ্র গোস্বামী প্রভৃতি, মহাজনী পদের ভ্রাতুষ্পপুত্র কত্ত্বক সংগৃহীত হইয়াছে। তদ্ব্যতীত সবল সংস্কৃত ভাষায় তাহার বচিত কয়েকটি স্তোত্র ও অষ্টকাদি আছে।” ૨8 Mr J L Herald. Esq, c s Deputy commissioner. Sylhet writes, (a letter No 2503. dated Sylhet, the 29th June 1801). 'I think you much for your cordial and loyal assistance in procurign boats coolies. and rations for Manipur expendition ૨G. Vide D C No 1366A. P Dated the 26th May 1881 A D ২৬ ১০ই আগষ্ট ১৮৯৪ ইং চিঠি। ২৭ যদৃচ্ছাক্রমে তদ্রবিত একটি পদ ও স্থলে উদাহবণ স্বরূপ দিলাম ঃ-- “নীপমূলে সুন্দর শ্যামব চন্দ হেবইতে সহচবি ৩ৈ গেনু ধন্দ। বোনাবলিগণ তৈখনে জাগি। বিহিপাযে মাগল লোচন লাগি । বিহি যব না পূবল তাকর আশ। স্বেদছলে রোদন কর পবকাশ । প্রতিত ছাওলা থবথবি কাপ। তৈখনে লোচন লোরহি ঝাপ । মনসুখে না হেবিলু সো মুখ চন্দ বৃন্দালন পহু শুনি বহ ধন্দ।" চৌধুরী মহাশয় কোন কোন পদে বৃন্দাবনচন্দ্র প্রভুকে স্মরণ কবিযাছিলেন, এ পদেও ৰ্তাহাব নাম আছে। ২৮ করিমগঞ্জেব সবডিভিশনেল অফিসার সাহেবের ১৯শ আগষ্ট ১৯১০ ইং লিখিত ১৩৪নং চিঠির উত্তবে যে বিববণ প্রদত্ত হয়, তদৃষ্টে ইহার অনেকাংশ লিখিত হইযাছে। কানুবাম চৌধুবীর কাহিনী পূৰ্ব্বাংশে প্রতাপগডেব বিবরণ প্রসঙ্গে বর্ণিত হওয়ায, তাহারও তদীয় পুত্র পৌত্রদিব কথা এস্থলে পরিত্যক্ত হইল।