পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-চতুর্থ খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩৪০ নুর আহমদের প্রপৌত্রই প্রসিদ্ধ শাহ দাউদ, দাউদ হইতেই এই বংশের বিস্তুতি ঘটে। দাউদ পরম ধৰ্ম্মনিষ্ঠ সাধু ব্যক্তি ছিলেন। যখন গদাহাসন নগর, গিয়াস নগর প্রভৃতি পরগণা তরফ হইতে খারিজ হইয়া পড়ে, সেই সময়ের অল্প পরেই দাউদ নিজ নামে দাউদ নগর পরগণা তরফ হইতে খারিজ করিয়া আনিয়া ছিলেন। দাউদের উপাসনা স্থানেই দাউদনগরের দরগা হইয়াছে; ঐ দরগায় দাউদের উপসনাকালীন ব্যবহৃত চৌকী সংরক্ষিত হইতেছে। ঐ দরগার পুষ্করিণীতে বহুতর গজার মাছ সৰ্ব্বদাই ভাসিয়া ফিরে, ইহা শায়েস্থাগঞ্জ ষ্টেশনের অতি সন্নিকটে অবস্থিত। মহাত্মা দাউদের মহিবউল্লা ও হাসন আলী নামে দুই পুত্র হয়; ইহাদের মধ্যে দাউদনগর বিভক্ত হইয়া পড়ে। পূৰ্ব্বোক্ত গজার মৎস্য ইহাদেরই পোষিত বলিয়া কথিত হয়। হাসন আলীর বংশীয়গণ ঢাকা জেলা ও ময়মনসিংহের বৌলাইবাসী হইয়াছেন। দাউদ নগরের সৈয়দগণের সমাধি মুড়ারবন্দ দরগার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।” মহিব উল্লার তিন পুত্রের মধ্যে সম্পত্তি তিন ভাগ হয়, বৰ্ত্তমানে তাহা বড় হিস্বা, মধ্যম হিস্বা, ও ছোট হিস্ব বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। মধুপুর-বংশ (দাউদ নগর বংশের শাখা) শাহ দাউদের বৃদ্ধ প্রপিতামহ-হাফেজউদ্দীনের ভ্রাতৃবর্গের মধ্যে আবুল মনসুর’ নামে একব্যক্তি তরফের উত্তর-পূৰ্ব্ব প্রান্তে বাসস্থান নির্ণয় করেন। তাহার পুত্রের নাম শাহ বাজিদ ইহার পৌত্র এনায়েত উল্লার নামে “এনায়েতপুর’ গ্রাম স্থাপিত হয়। এনায়েত জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহফতের নামে ফতেপুর মৌজার নাম হয়। শাহফতের কনিষ্ঠ ভ্রাতার নাম শাহ শাদউল্লা, তৎপুত্র রহমত উল্লাব ইহার পুত্র ওয়াহেদ আলী ওরফে মধুমিয়া, নিজ নামে মধুপুর নামক গ্রাম স্থাপন করেন। মধুমিযাব প্রপৌত্রগণ জীবিত আছেন । পরগণা-নুরুল হাসন নগর পৈলের সৈয়দ বংশে শাত নুরি নামে এক বিখ্যাত ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেন, তিনিই “নুরুল হাসন নগর" পরগণা নিজ নামে খারিজ করেন বলিয়া কেহ কেহ বলেন; শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য ভাগ ২য় খণ্ডের ৫ম অধ্যায়ে পৈল-বংশ বিবরণে তাহা বলা হয়। কিন্তু মতান্তরে নুরুল হাসন নামক অন্য এক ব্যক্তি আপন নামে এই নূতন পরগণা খারিজ করিয়া আনিয়াছিলেন। এই শেষোক্ত মতটিই অনেকের মতে বিশ্বাসযোগ্য। পরগণা তরফের তিতাবকোণা গ্রামবাসী শাহ বাদখার পুত্র মুল্লা মুসা বিদ্যা ও প্রতিভাবলে সম্রাট আরঙ্গজেবের নিকট পরিচিত হইয়াছিলেন। ইহার তিন পুত্র, তাহাদের নাম নুরুল হাসন, খলিলুব রহমান, ও হবিবুর রহমান। তন্মধ্য জ্যেষ্ঠ নুরুল হাসন পিতার চেষ্টায় নিজনামে একটি পৃথক পরগণা জরফ হইতে খারিজ করিয়া লইতে সমর্থ হইয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে। উক্ত ক্ষুদ্রতম ১৬ পববৰ্ত্তী দ পবিশিষ্টে দাউদ নগবেব বংশাবলী দ্রষ্টব্য। ১৭ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের ১য ভাগ গ পবিশিষ্টের লিখিত ৩নং হইতে ১১নং পর্যন্ত এ ২/২৩নং,৩৪/৩৫ নং প্রভৃতি “ সংখ্যার উল্লেখিত নামাবলী দ্রষ্টব্য। ১৮ পরবর্তী দ পবিশিষ্টে এ বংশেৰ নামাবলী লিখিত হইলে ।