পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩ জীবন বৃত্তান্ত 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত হইল” বলিয়া সকলেই বিষাদ প্রকাশ করিয়াছিল। যথা সময়ে মহাড়ম্বরে রাজার শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হইয়াছিল। গোবিন্দ খা শ্রীহট্ট—বাণিয়াচঙ্গের অধিপতি গোবিন্দ খাঁর বৃত্তান্ত শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ দ্বিতীয়ভাগ, ৩য় খণ্ড ২য় অধ্যায়ে বিস্তারিত বর্ণিত হইয়াছে বলিয়া এ স্থলে আর লিখিত হইল না। উহা সেই স্থলেই দ্রষ্টব্য। গোরাচাদ অধিকারী গুরু গোরাচাদ লক্ষ্মীপুরের কামদেব বংশে জন্মগ্রহণ করেন, এই বংশের সংক্ষিপ্ত কথা ৩য় ভাগের ১ম খণ্ডে ৫ম অধ্যায়ে উক্ত হইয়াছে। এই বংশীয়গণ কায়স্থ হইলেও গুরুতা ব্যবসায়ী। গোরাচাদের পিতার নাম মাধবদাস। মাধবদাসের শিষ্য সম্পদ অল্প ছিল না। পিতৃ বিয়োগের পব গোরাচাদ শিষ্য সংরক্ষণে ও “বার্ষিকী” আদায় করিতে শিষ্য বাড়ী যাইতে আরম্ভ করেন। অপূৰ্ব্ব শারীরিক সৌন্দৰ্য্য ব্যতীত গুরুর যোগ্য গুণাবলীতে প্রথমে যে তিনি বিভূষিত ছিলেন, এমন প্রমাণ পাওযা যায় না। গুরুর ছেলে গুরু, তাই শিষ্য সমাজে তাহার অনাদর ছিল না। যাহারা গুরুর উচ্চাসনে আরূঢ় হইতে অভিলাষী, তাহাদের চরিত্র যেরূপ সজ্জিত, নিৰ্দ্দোষ ও অন্যের অনুকরণীয় হওযা কৰ্ত্তব্য,প্রথমে তাহাও যে র্তাহার ছিল, এমন নহে, তথাপি গোরাচাদ গুরু ছিলেন। একদা তিনি এক শিষ্যগৃহে গমন করেন, শিষ্যের পত্নী অতি রূপবতী, সেই সরলা যুবতী গুরুকে প্ৰণাম করিতে আসিলেন; এদিকে গুরুদেব তাহার অতুল রূপরাশি দর্শনে একবারে চঞ্চল চিত্ত ও অধৈৰ্য্য হইয়া উঠিলেন;° এমন কি তিনি নির্লজ্জভাবে নিজ মনোভাবে তাহার কাছে ব্যক্ত করিতে ইতস্ততঃ করিলেন না। সেই শিষ্যপত্নী গুরুর মুখে অনুচিত বাক্য শ্রবণে যেমন ব্যথিত হইলেন তেমনি ক্রোধিতা হইযা ভৎসনা করিতে লাগিলেন। ক্রোধে রমণীকে মুখরা করিয়া তুলিল; তিনি বললেন “গুরুদেব” আপনি পিতৃতুল্য, আপনার এ কিরূপ কথা?” “গুরুদেব’! আপনি না গোস্বামী বলিয়া পরিচয় দেন? 8০ “কারস্থ কুলেতে জন্ম বাস লক্ষ্মীপুরে। । গোস্বামী শব্দের অর্থ কেহ মহাশয? ব্যবসা শুকতা তাব জানযে সংসারে। “গো শব্দে দেহেন্দ্ৰিয অভিধানে কয। প্রথম যৌবনে ছিল অত্যন্ত সুন্দব। যেই জন করিয়াছেইন্দ্রিয়কে জয। একদিন চলিলেন সেবকের ঘব।" ইত্যাদি। জিতেন্দ্রিয় যেই জন সেই সে গোস্বামী। —রঘুনাথ লীলামৃত (মুদ্রিত) যাহা জানি বিস্তাবিয কহিনু সে আমি। 8১ “গোরাচাদ অধিকারীর এবাকা শুনিযা। o ইন্দ্রিয় স্বামিত্ব কবে যাহার উপব। রাগে পরিপূর্ণনাবী কহিল গজ্জিয়া। গাভী স্বামী বৃষ-সেই কেবল পামর। আপনি শ্রীশুরু —মোব পিতাব সমান। ইন্দ্রিয়ের সুখে যেই বাকুল সদায়। বীজ মন্ত্র মম কণে করেছ প্রদান।” তাহাকে গোস্বামী বলে, মনে দুঃখ পায়।” ইত্যাদি “গোস্বামী বলিযা লোকে দাও পরিচয় ।