পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ ভাগ 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ৪৬ তিনি প্রায় এক মাস কাল যকৃৎ ও তদানুষঙ্গিক পাণ্ডু রোগে ভুগিয়া বিগত ১৯০৬ ইং ফেব্রুয়ারী মাসে ৭০ বৎসর বয়সে মানব লীলা সংবরণ করেন। তাহার মৃত্যু সংবাদ ইংলিশমেন, বেঙ্গলী, ইণ্ডিয়ান, ডেলি নিউজ, ষ্টেসমেন প্রভৃতি ইংরেজী ও দৈনিক প্রভৃতি বাঙ্গালা কাগজে ঘোষিত হইয়াছিল।৪৩ গৌরহরি চক্ৰবৰ্ত্তী অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বেও শ্রীহট্টের বাহিরে বহু স্থানে শ্রীহট্টবাসী প্রসিদ্ধিলাভ করিয়া জন্মস্থানের মুখ উজ্জ্বল করিয়া গিয়াছেন,—তাহাদের মধ্যে বারাণসী ধামে অনেক অবস্থান করিতেন। স্বগীয় কৃষ্ণ হরি বিশারদ কাশীধামস্থ সমগ্র বাঙ্গালি সমাজের নেতা ছিলেন; এবং তৎপুত্র গঙ্গাহরি বিদ্যারত্বও তাদৃশ হইয়াছিলেন। ইহাদেরই সমকালীন গৌরহরি চক্ৰবৰ্ত্তী সমগ্র বঙ্গীয় ও হিন্দুস্থানী উকিলবর্গের মধ্যে একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কাশীধামে প্রকাণ্ড বাড়ী এবং প্রভূত্ব সম্পত্তি উপাৰ্জ্জন করিয়া গিয়াছেন। তাহার ন্যায় প্রতিভাবান ব্যক্তি স্বগীয় কাশীধমে খুব কমই ছিল; তিনি আজীবন সমগ্র কাশীবাসীর সম্মানভাজন হইয়া আজ প্রায় দ্বাদশ বর্ষ হইল, পরলোক গমন করিয়াছেন। গৌরীচরণ দাস ইংরেজ আমলের প্রথম সময়ে শ্রীহট্টের অন্তর্গত লাতু গ্রামে একটি মোন্সেফী আদালত ছিল; লাতুর সাহু বংশীয় লালা মহেশ রায় সেই আদালতে উকালতি করিতেন। লালার মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র গৌরীচরণ পিতৃপদ প্রাপ্ত হন। তখন উকালতির সনন্দপত্রও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হওয়া যাইত। গৌরীচবণ পারস্য ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন, অচিরেই তিনি স্বীয় ব্যবসায়ে লব্ধ প্রতিষ্ট হইয়া উঠেন; পাবস্য ভাষায় তাহার এরূপ জ্ঞান ছিল যে, দূর দূরান্তের পারস্য ভাষাবিৎ পণ্ডিতগণ র্তাহার সহিত আলাপ করিয়া তৃপ্তি অনুতপ্ত করিতেন। লাতুর সন্নিকটবৰ্ত্তী ভোগা-গ্রামবাসী মৌলবী আব্দুল গফুর চৌধুরীব বাড়ীতে তুরস্কবাসী জনৈক মৌলানা যদৃচ্ছ ক্রমে আগমন করেন, মৌলানা অতি বিদ্যান ও ভদ্র বংশীয় ছিলেন। ইহাকে সম্বদ্ধনার জন্য চৌধুরী, মুন্সেফার এলাকায় তাবৎ পারস্য ভাষাবিৎ পণ্ডিতকে নিমন্ত্রণ করেন। নির্দিষ্ট দিনে তাহার বাড়ীতে একটি সভা সম্মিলিত হয়, সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে গৌরীচরণ উপস্থিত না হওয়া পৰ্যন্ত কেহই সেই বিদেশী মৌলানার সহিত আলাপ করিতে সাহসী হন নাই। সভার সকলেই তুষ্টীভূত হইয়া রহিয়াছেন, এমন সময় গৌরীচরণ উপস্থিত হইলেন, দেশীয় মৌলবীবগের মুখ প্রফুল্ল হইল এবং মোনশীকে মৌলানা সহ আলাপের জন্য সকলেই ইঙ্গিত করিতে লাগিল। মোনশী তৎক্ষণাৎ একটি পারস্য কবিতা রচনা করিয়া আবৃত্তি করিলেন। কবিতার মৰ্ম্ম এই—“এই বিদ্বৎ সভায়, যে সুপুরুষ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ পূৰ্ব্বক শোভমান হইতেছেন, তিনি !--- *- 22 =دســ --ست5د ـ ت=د কে কোথা হইতে কি হেতু এস্থলে উপনীত হইয়াছেন। ৪৩ তাহাব প্রথম পুত্র শ্রীযুক্ত গিরিশচন্দ্র দাস শিবপুর ইঞ্জিনিয়াবিং কলেজ হইতে সগৌববে বি ই পরীক্ষায সৰ্ব্বপ্রথম হইয়াছিলেন ।