পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স গুৰিsশ সাশ্ব সরিক, ১৭৭৮ শকের প্রথম বক্তৃত । థి' সেই অনিৰ্ব্বচনীয় অশেষ শক্তি সম্পন্ন করুণাকর আদি পুরুষের এমনি অপর মহিম ষে তিনি কৃপা করিয়া এই তমসাচ্ছন্ন দেশে এক মহাপুরুষকে অবতীর্ণ করিয়া এখানে এই পরমোৎকৃষ্ট ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারিত হইবার কারণ সৃজন করিলেন এবং সেই মহাপুরুষ হইতেই প্রথমভঃ এই সমাজ সংস্থাপিত হইল । যে অসামান্ত ধীশক্তি সম্পন্ন সহাপুরুষের প্রযত্নে প্রথমতঃ এই সমাজ সংস্থাপিত হয়, এ ক্ষণে র্তাহার নাম স্মরণ করিয়া শরীর পুলকে পূর্ণ হইতেছে এবং উহার নাম উচ্চারণ করিতে ভাবেতে কণ্ঠ অবরুদ্ধ হইতেছে, বোধ হয় । সেই বিশ্ব বিখ্যাত রাজ রামমোহন রায়ের নাম এ দেশীয় আবাল বৃদ্ধ সকল লোকেরই শ্রীতি গোচর হইয়া থাকিবে এবং সেই অসামান্ত কীৰ্ত্তি সম্পন্ন মহাপুরুষ বহু দুর স্থিত দ্বীপান্তরীয় লোকের নিকটও অপরিচিত নহেন । তিনি যে স্থত্রে এই ব্রাহ্ম-সমাজ সংস্থাপন করেন এবং তাহা হইতে যে প্রকারে এই চিরস্থায়ী মহদ্ব্যাপার সম্পন্ন হয়, তাহা অতি আশ্চর্য । ভুবন বিখ্যাত পণ্ডিত চূড়ামণি সর আইজেক নিউটন যেমন বৃক্ষ হইতে একটি ফল পতন হইতে সন্দর্শন করিয়া তাহার বিষয় আলোচনা করত অপুৰ্ব্ব জ্যোতিৰ্ব্বিদ্যার প্রচার করিয়াছিলেন বিশ্বমস্য উইলিএম হাৰ্ব্বি সাহেব যে রূপ শরীরস্থ শিরা মধ্যে কবীটবং সমুহ অবরোধ স্থান সন্দর্শন করিয়া তদ্বিষয় চিন্তা করিতে করিতে শোণিত সঞ্চরণের প্রকৃত তত্ত্ব প্রকাশ করিলেন, রাজ রামমোহন রায়ও সেই প্রকার এ দেশের কাল্পনিক ধর্মের বিকৃত ভাব সন্দর্শন পুৰ্ব্বক তাহ নিবারণ করিবণর উপায় অম্বেষণ করত এবং সত্য ধর্মের স্বরূপ চিন্তা করত অভি সীমান্ত স্থত্রে ব্রাহ্ম-ধর্শ্বের এই পরম তত্ত্ব প্রকাশ করেন । তৃষ্ণাতুর মৃগ যেমন সুশীতল জল প্রাপ্ত হইলে তৃপ্ত হয়, ধৰ্ম্ম তৃষ্ণাতুর রাজা রামমোহন রায়ও সেই রূপ এই পরম ধন ব্রাহ্মধর্মের মৰ্ম্ম লাভ করিয়া ভৃগু হইলেন এবং তিনি-যে অপুৰ্ব্ব অমৃত পান করিয়া আপনার ধৰ্ম্ম তৃষ্ণণর শান্তি করিলেন, সেই সুধা পান করাইয় সকলকে সুখী করিবার উদেশে এই ব্রাক্ষসমাজ সংস্থাপন করিলেন । রামমোহন রায়ের মন স্বtখপর